Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিনাগগ কনসার্ট হল রেস্তোরাঁ বানানো হয় মসজিদগুলোকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

ফিলিস্তিনে উসমানীয় খেলাফত আমলের শাসক জাহির আল আল-উমার আল-জায়দানি উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিবরিয়ায় নিজের নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন ১৭৪৩ সালে। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত মসজিদটিতে নামাজ আদায়ে যেতেন মুসল্লিরা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাদের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল উমারি মসজিদ। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সেই ধ্বংসস্তূপে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মসজিদটি পরিত্যক্ত হয়।-খবর আনাদোলুর। তিবরিয়ার এই ঐতিহাসিক স্থাপনটি জায়দানি মসজিদ নামেও পরিচিত ছিল। মামলুক স্থাপত্যে তৈরি মসজিদটির একটি বিশাল গম্বুজ ও একটি মিনারও ছিল। ইসরাইলে আরব নাগরিকদের হাই ফলোআপ কমিটির কামাল খতিব বলেন, নাকবার পর অধিকাংশ ফিলিস্তিনিদের মতোই তিবরিয়ার বাসিন্দারা সিরিয়া ও লেবাননে পালিয়ে যান। আর জায়দানির পরিবার নাসিরাত শহরের কাছে চলে যায়। তিনি বলেন, উমারি মসজিদটি সংস্কার করতে ইসরাইলের কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন জায়দানির পরিবার। তিবরিয়া পৌরসভা তাদের সেই অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু এই পুরো সময়টিতে মসজিদটি বন্ধ রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের সেখানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। কেউ মসজিদটিতে প্রবেশ করতেও পারেননি। কামাল খতিবের একটি জরিপ থেকে জানা যায়, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ অন্তত ১৫টি মসজিদকে সিনাগগে রূপান্তরিত করেন। এছাড়া ৪০টি মসজিদ হয় ধ্বংস করা হয়েছে, নতুবা বন্ধ কিংবা পরিত্যক্ত করে রাখা হয়েছে। আর ১৭টি মসজিদকে গোলাবাড়ি, বার, রেস্তোরাঁ ও জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাফেদের আল আহমার মসজিদকে কনসার্ট হল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর কিসারিয়া শহরের আল-জাদিদ মসজিদকে বারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। হাইফা অঞ্চলে আইন হাউদ মসজিদ, জাফ্ফায় আল-সিকসিক মজজিদকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়। খতিব বলেন, নাকবার পরে ৫৩৯টি ফিলিস্তিনি গ্রাম ধ্বংস করা হয়েছে। মসজিদসহ সব ধরনের ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের ধ্বংসযজ্ঞের সহজ শিকার ছিল। নাকবার আগে ফিলিস্তিনি মসজিদগুলো মুসল্লিতে ভরে যেতো। এরপরে সেই মসজিদগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বহু মসজিদ সিনাগগ, বার, জাদুঘর, ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। মুসলমানদের অনুভূতিতে সামান্য সম্মান দেখায়নি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আনাদোলু।



 

Show all comments
  • Mohd Shah Jahan ৩১ জুলাই, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    condemn THIS uncivilized act
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ মোশাররফ ৩১ জুলাই, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
    যাারা আয়া সোফিয়া নিয়ে তুরস্কের বিরুদ্ধে মাতামাতি করেছেন তাদের ভালো করে পড়ার দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • হোসাইন এনায়েত ৩১ জুলাই, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
    বাস্তব ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ইনকিলাবকে ধন্যবাদ। অনেক উদার মুসলিম এগুলো না জেনে মন্তব্য করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • কাজী হাফিজ ৩১ জুলাই, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা ইসলামের শত্রুদের ধ্বংস করুন। ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • মিরাজুল ইসলাম ৩১ জুলাই, ২০২০, ৯:২৭ পিএম says : 0
    এটা নিয়ে কারোর কোন হৈচৈ নাই
    Total Reply(0) Reply
  • আরাফাত ৩১ জুলাই, ২০২০, ৯:২৮ পিএম says : 0
    শুধু মুসলমানরা কিছু করলেই দোষ এরা করলে কোন সমস্যা নেই!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ