পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ফ্রান্সে ঐতিহ্যবাহী মার্সাই শহর। অভিবাসী অধ্যুষিত বন্দর নগরীটিতে একসময় ইহুদীরা ছিল সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে মুসলমানরাও অনেক আগে থেকে আছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। তবে কালের পরিক্রমায় মার্সাই থেকে ইহুদী জনবসতি স্থানান্তরিত হয়ে চলে যায় অন্যত্র। অনেকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করে আরো ভাল শহরে চলে গেছেন। এখন খুবই স্বল্প সংখ্যক ইহুদী ধর্মাবলম্বী বাস করেন এই এলাকায়। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, সিনাগগে যাওয়ার মতো প্রার্থনাকারীও আশপাশে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় ‘অর তোরাহ’ নামক সিনাগগটি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা। আর সেটি কিনছে আল বদর নামে স্থানীয় মুসলিম একটি সংস্থা। কেনার পর সিনাগগটিকে মসজিদে রূপান্তর করবেন বলে আল বদরের কর্তা জানিয়েই রেখেছেন। অবশ্য নিজেদের প্রার্থনার স্থানটি মুসলমানদের প্রার্থনার স্থানে পরিবর্তিত হওয়া নিয়ে কোনো খেদ নেই সিনাগগের প্রধান রাবাই রুবেন ওহানার। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘সিনাগগটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদেরবে সতর্কভাবে ভাবতে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু স্থানটি একেবারে শূন্য পড়ে থাকার চেয়ে কোনো কাজে লাগানোকেই উত্তম চিন্তা করছি আমরা। আর যেহেতু বিক্রিই করবো তাহলে দোকান বা নাইটক্লাব বানানোর চেয়ে ধর্মীয় প্রার্থনার জায়গা যারা বানাবে তাদের কাছেই বিক্রি করা উত্তম। এসব ভেবেই আমরা এখানকার মুসলিম কমিউনিটির কাছে এটি বিক্রি করতে মনস্ত করেছি।’
রাবাইর মতো স্থানীয় ইহুদীরাও নিজেদের প্রার্থনার স্থানটি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়াতে মনক্ষুন্ন নন। একজন মহিলা বলেন, ‘এটার মসজিদে রূপান্তর হওয়াতে আমার খারাপ লাগছে না। আরেকজন বলেন, ‘ইহুদী লোকজন এই এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে এটি বিক্রি তো করতেই হবে।’ স্থানীয় ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মুসা কোতিও খুশি মসজিদের জন্য নতুন একটি জায়গা পেয়ে। তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান মসজিদের মাত্র এক সাথে ১০০ জনের মতো মুসল্লীকে জায়গা দিতে পারি। শুক্রবার দিনে অনেকে এসে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। আমাদের নামাজের জন্য আরো জায়গা দরকার। এটি পেয়ে ভাল লাগছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।