Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুগলের বিরুদ্ধে বাজার দখলে রাখতে তথ্য চুরি অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ৭:১০ পিএম | আপডেট : ৭:২০ পিএম, ৩০ জুলাই, ২০২০

বিশ্বের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন ও অ্যাপলের মতো সংস্থার। বাজার দখলের লড়াইয়ে কোনও অনৈতিক পন্থা নেয়া হচ্ছে কিনা সবিস্তারে জানতেই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে চার সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই, মার্ক জাকারবার্গ, জেফ বেজোস ও টিম কুক-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে মার্কিন কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় সাব-কমিটি। বিচারবিভাগীয় কমিটির অ্যান্টি-ট্রাস্ট প্যানেল বিশ্বের অন্যতম সেরা চার প্রভাবশালী ব্যক্তিকে প্রশ্নের পর প্রশ্নে বিদ্ধ করে।

এর আগেও এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিশ্বের প্রভাবশালীদের। গুগল সিইও সুন্দর পিচাই, ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ, মাইক্রোসফট কর্তা বিল গেটসকে আগেও তাদের বিশ্বজোড়া ব্যবসার খুঁটিনাটি সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হয়েছে। এবারের অ্যান্টি-ট্রাস্ট কমিটির প্যানেলে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবাব দেন চারজনেই। তবে কনফারেন্সের সব আকর্ষণই ছিল গুগল কর্তা সুন্দর পিচাইকে ঘিরে।

গুগলের বিশ্বজোড়া বাজার। ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠছে। কোটি কোটি গ্রাহক। বাজারে আধিপত্য কায়েম রাখতে তথ্য চুরি করছে গুগল, এমন অভিযোগ তোলেন মার্কিন ডেমোক্র্যাট এবং অ্যান্টি-ট্রাস্ট সাবকমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড সিসিলিন। তার বক্তব্য, গুগলের মতো তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবসার এত বাড়বাড়ন্ত অথচ সেই ব্যবসা সম্পর্কে সবিস্তারে কোনও তথ্যই নেই মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের কাছে। গুগলের সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গ্রাহক টানতে অন্য ব্যবসায়ীদের সংস্থার থেকে রিভিউ চুরি করছে গুগল এমন অভিযোগও করেন মার্কিন ডেমোক্র্যাট।

সুন্দর পিচাইকে উদ্দেশ্য করে সরাসরি তোপ দেগে অ্যান্টি-ট্রাস্ট কমিটি প্রশ্ন তোলে, ‘কীভাবে বাজার দখলে রাখতে অন্য সংস্থার থেকে অনৈতিকভাবে তথ্য চুরি করতে পারে গুগল?’ এই প্রশ্নের জবাবে, সুন্দর পিচাই বলেন, ‘গুগলের তথ্য চুরি করার দরকার পড়ে না। গুগলের মতো সংস্থা নিজেদের প্রযুক্তির মান ধরে রাখতে পারে।’ গুগল কর্তার কথায়, ‘আমরা আমাদের সেরাটা দিই। নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড ধরে রেখেছি। গ্রাহকদের মন জিততে অন্য সংস্থার থেকে তথ্য চুরি করার দরকার পড়ে না।’

ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গকে বিজ্ঞাপনী প্রচারের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এর আগেও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে নজরদারি করার অভিযোগে সমালোচিত হয়েছিলেন জুকারবার্গ। বাজার দখলের লড়াইয়ে কোনওরকম অনৈতিক পন্থা নেয়া হচ্ছে কিনা সে প্রশ্নের মুখে পড়েন অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোসও। তবে তার বক্তব্য, ‘অ্যামাজন তার ব্যবসার বিষয়ে সৎ ও গর্বিত। কোনও ভুলত্রুটির প্রশ্নই ওঠে না।’ সূত্র: দ্য ওয়াল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুগল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ