মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস প্যানডেমিকের প্রভাব ঠিক কতটা পড়েছে ভারতীয়দের মনে? পাঁচ মাস ধরে এই চরম সঙ্কটে দিন কাটানো। দিনের পর দিন লকডাউন। চাকরি ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা। আর্থিক সঙ্কট-সব মিলে ঠিক কী মানসিক অবস্থায় রয়েছেন লোকজন।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি ১০০ জনের মদ্যে ৪৩ জন ভারতীয় মানসিক অবসাদে দিন কাটাচ্ছেন। গোকি’র করা এই সমীক্ষা চালানো হয় প্রায় ১০ হাজার ভারতীয়ের উপর। এর প্রধান লক্ষ্যই ছিল নিউ নর্মালের সঙ্গে মানুষ কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখা।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৬ জন জানিয়েছেন তারা হালকা অবসাদে ভুগছেন। ১১ জনের কথা, অবসাদ প্রায়ই তাদের ঘিরে ধরে এবং ৬ জনের বক্তব্য হচ্চে তারা গভীরভাবে অবসাদগ্রস্ত।
সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ‘গত পাঁচ মাস যে সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে মানুষকে যেতে হয়েছে তা অভ‚তপূর্ব। একাধিক কারণে ক্রমশ বেড়েছে মানসিক চাপ। বর্তমানে লকডাউনের কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, তাতে ৪৩ শতাংশ ভারতীয় অবসাদগ্রস্ত এবং তারই মধ্যে নতুন জীবনধারায় কোনভাবে মানিয়ে চলার চেষ্টা করছেন।
গোকি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিশাল গোন্ডাল জানিয়েছেন, ‘ক্রমাগত বেড়ে চলা এই অনিশ্চয়তার সঙ্গে বেড়েছে স্ট্রেস ইন্ডেক্স। আর এর সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র উপায় সুষম আহার। লাইফস্টাইলে পরিবর্তন মেনে নেওয়া এবং সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে ঘুমের সময় নির্দিষ্টি রাখা।’
অবসাদে ভুগছেন যারা, তারা জানিয়েছেন কোনও কাজেই উৎসাহ বা আনন্দ পান না। সব সময়েই হতাশা যেন গ্রাস করে থাকে। স্ফ‚র্তির অভাবের পাশাপাশি আত্মসম্মানেও দেখা দিচ্ছে ঘাটতি। কোনও কাজে মনোসংযোগ তো করতে পারছেনই না, বরং বাড়ছে অস্থিরতা। মাঝেমধ্যেই নিজেকে আঘাত করার প্রবণতাও দেখা দিচ্ছে তাদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের প্রভাব ঠিক কতটা গভীর হচ্ছে ভারতীয়দের মানসিক স্বাস্থ্যে? সেটা বোঝার জন্যই এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশজোড়া অনলাইন সমীক্ষা শুরু করেন ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটির একদল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ইংরেজি ছাড়াও ১১টি আঞ্চলিক ভাষায় তৈরি নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। একটি ডিভাইস থেকে যাতে একবারই মাত্র উত্তর দেওয়া যায়, করা হয় সে ব্যবস্থাও। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এক হাজার ৮৭১ জন। এদের বয়স ১৪ থেকে ৮৭ বছর। আর এক হাজার ৬৮৫ জনের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।