পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পদ্মাসেতুসহ দেশের অধিকাংশ মেগা প্রকল্পে চীনের সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশে চীনের প্রভাব ঠেকাতে নতুন কৌশল নিয়েছে ভারত। দেশটি উপহার হিসেবে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশকে দিয়েছে। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে লোকোমোটিভগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। দর্শনা-গেদে রেল সীমান্তে এই ১০টি লোকোমোটিভ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর এবং রেল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভের বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন লোকোমোটিভগুলো গ্রহণ করেন। এতে অংশ গ্রহণ করেন ভারতের রেলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অঙ্গদি সুরেশ।
২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে । ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে লোকোমোটিভগুলোক যথাযথভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। লোকোমোটিভগুলো বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. জয়শংকর পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ সম্পর্কের গভীরতার কথা তুলে ধরেন।
এদিকে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকার সঙ্গে রেল সহযোগিতা বাড়াচ্ছে ভারত। বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল সহযোগিতাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে ভারত। এরই মধ্যে বাংলাদেশে রেল কানেকটিভিটিসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে চীন। এর প্রেক্ষাপটে সরকারি সূত্রগুলো বলেছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তা পূরণ করতে ভারত এসব লোকোমোটিভ হস্তান্তর করছে। অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে আরো বলা হয়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে বাংলাদেশের সঙ্গে কিছু পুরনো রেলসংযোগ পুনঃস্থাপন করে এবং রেলওয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে রেল সংযোগ বৃদ্ধির জন্য যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ ও ভারত। একটি সূত্র বলেছেন, রেলখাতের মোট ১৭টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে ভারত লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) বা ঋণ সহায়তা দিয়েছে। তাতে ২৪৪ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বার্ষিক শতকরা মাত্র এক ভাগ সুদে এসব ঋণ বাংলাদেশকে প্রস্তাব করেছে ভারত। ৫ বছর স্থগিত থাকার পর এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরে। ভারতের মতে, রেলওয়ের ওই ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৯টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লোকোমোটিভ, ফ্লাট ওয়াগন সরবরাহ, সেতু নির্মাণ ও সিগন্যাল সরঞ্জাম স্থাপন।
ওদিকে বিআরআই-এর উদ্যোগের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরণে কাজ করছে চীন। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ রয়েছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।