পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগ করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এই অগ্নিকান্ডের সঙ্গে ইসরাইলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। পশ্চিম তীরের ওই এলাকার মালিকানা ইসরায়েলের দাবি করে হিব্রু ভাষায় মসজিদের প্রাচীরে বাইবেলের বরাত দিয়ে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পুরোনো স্লোগান ‘এই ভূমি ইসরাইলি জনগণের’ লেখা হয়েছে। মসজিদে অগ্নিসংযোগের এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ইসরাইলের ক্যাবিনেট মন্ত্রী আমির পেরেৎজ। টুইটারে এক বার্তায় পশ্চিম তীরের আল-বাইরেহ এলাকার ওই মসজিদে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ফিলিস্তিনি জরুরি সেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভোরের দিকে আল-বীর এবং আল-সান মসজিদের জানালা দিয়ে ভেতরে বিস্ফোরক তরল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে মসজিদের বাথরুম এলাকা পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, মসজিদের আশপাশে বসবাসকারী বাসিন্দা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। তবে মসজিদের নামাজ পরার জায়গা অক্ষত রয়েছে। ফিলিস্তিনের ধর্মীয় কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রধান সমঝোতাকারী সায়েব এরেকাত মসজিদে অগ্নিসংযোগের জন্য ইহুদিবাদী অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের দায়ী করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি বর্ণবাদী এবং জাতি-বিদ্বেষম‚লক কর্মকান্ড। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখলে নেয় ইসরায়েল। বর্তমানে এই এলাকায় ফিলিস্তিনের ৩০ লাখ মানুষের পাশাপাশি প্রায় ৪ লাখ বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছেন। পশ্চিম তীর, গাজার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি ফিলিস্তিনিদের। তারা পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলিদের অবৈধ দখলদারী ও বসতি স্থাপনকে ভবিষ্যৎ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পথের কাটা হিসেবে মনে করেন। হারেৎজ, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।