বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোরবানির ঈদের আর মাত্র ক’দিন বাকি। এখনও বিক্রয় হয়নি বিগবসসহ খামারে পালন করা অনেক কোরবানির পশু। কুষ্টিয়ার প্রায় ৩৪ হাজার ছোট-বড় খামারে পালনকরা পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর গ্রামে বকুল হোসেন দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গরুটি পালন করে আসছেন। নাম দিয়েছেন বিগবস। বর্তমানে তার ওজন ৩২ মণ। করোনার কারণে বিগবসকে এখনও বিক্রয় করতে পারেননি তিনি। তবে সন্তোষজনক দাম পেলে বিগবসকে বিক্রয় করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। চক দৌলতপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১১টি গরু পালন করেছেন। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রয় করতে পারেননি। একই অভিযোগ সাদীপুর গ্রামের হুমায়ন কবীরের। তার ফর্মে বিক্রয়যোগ্য ৩০-৩৫টি গরু রয়েছে যার একটিও বিক্রয় হয়নি। এমন চিত্র দৌলতপুরের ছোট বড় কয়েক হাজার খামারি ও প্রান্তিক পশু পালনকারী কৃষকের।
এবছর করোনার কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লালন-পালন করা পশু সরবরাহ বা বিক্রয় করতে না পারায় পশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। গরুর ব্যাপারি না থাকায় খামার থেকেও গরু বিক্রয় হচ্ছে না। তবে জেলা প্রশাসন অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির পাশাপাশি পরিবহনে সার্বিক সহায়তার কথা জানালেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন।
জেলায় এবছর ৩৪ হাজার খামারে প্রায় ১ লাখ গরু ও ৭০ হাজার ছাগল লালন পালন করেছেন খামারিরা। জেলায় ৩০ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু চলে যায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে। তবে করোনার কারণে এবার পশু অবিক্রিত থাকার পাশাপাশি বড় লোকসানে পড়বেন খামারিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।