Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিলেন আইজিপি

কোরবানির পশু পরিবহন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২০, ১১:৩১ পিএম

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের চাঁদাবাজি না হয় সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে সকল ইউনিট প্রধানদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানকালে এ বার্তা দেন তিনি।

তিনি বলেন, সড়ক ও নৌপথে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের চলাচল নির্বিঘœ করতে হবে। কোরবানির পশুবাহী গাড়ি অথবা ট্রলার কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া না থামানোর নির্দেশ দেন তিনি। আইজিপি বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ কোরবানির পশুবাহী গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে ক্যাম্প স্থাপন করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সাথে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রধান বলেন, পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু
ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কেউ পশুরহাটে প্রবেশ করতে পারবে না। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চলাচল নির্বিঘœ করার জন্য স্বাভাবিক ট্রাফিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন আইজিপি।
তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া তল্লাশীর নামে কোন গাড়ি থামানো যাবে না। ট্রেনের টিকিট যাতে কালোবাজারি না হয় সে ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাস এবং অন্যান্য পরিবহনে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। যাত্রা শুরুর প্রান্তেই সকল ধরনের পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটানো নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়ক, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার, করিমন, নসিমন ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আইজিপি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছু কিছু অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি, ডাকাতি এবং অন্যান্য অপরাধ বন্ধের লক্ষ্যে পেট্রোল বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন।

 



 

Show all comments
  • Arif ২১ আগস্ট, ২০২০, ২:২৭ এএম says : 0
    ফেব্রুয়ারির একটি ডাকাতির মামলা করার পর পুলিশ যদি এটাকে সামান্য চুরির মামলায় নিয়ে নথি করে, এটা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায় কিনা ? যদি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পরও তা হারিয়ে ফেলা বা অস্ত্রের উদ্ধার না দেখানো কি কোন অভিযোগ কিনা ? পুলিশের নিকট মামলা হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেও যদি কোন সারা শব্দ না আসে বা যদি কোনরকম যোগাযোগ না করে তবে কি করা যায় ? জানেন অভিযোগ করলে কত অভিযোগ জমা হবে ??? তারপর কি হবে ??? সেই ফাটা কেষট !!! সব অভিযোগ যদি জনগনের সামনে আসে তো লজ্জা পাবেন কিনা ??? এভাবে কাজ করা যায় না যেন কোন অভিযোগ করার স্কোপ না থাকে !!! I mean ... Self Evaluation and Rectification !!! Why going for a "Chaos Theory" ??? পাবলিক সার্ভিস কাকে বলে বুঝেন আগে ! Lawman আর ক্রিমিনাল এর পার্থক্য মুখস্ত করে লাভ নেই যদি না মানেন নিজেরাই ! সত্য বলা উচিত...এটা তো মুখস্ত করার কিছু নাই, এমনেই হওয়ার কথা। Basuc তো আর বলার কিছু নাই, মানার ব্যপার। আগে উপরের স্যারদের ঠিক হতে হবে যদি আসলেই ঠিক করতে চান। যেকোন Change এর বেলায় একই। আর যদি Top Mgt এক হতে না চায় বুঝতে হবে ভূগোল এর বই আবার পড়তে হবে। যেই লাউ সেই কদুই আরকি !!! পুলিশের উচিত আগে নিজেকে অপরাধমুক্ত করা, তাহলেই হবে। পুলিশকে বুঝতে হবে সে নিজেও আইনের উর্ধে নয়। জন নিরাপত্তা দিতে হবে। সিস্টেম আপগ্রেড করতে হবে আগে, তারপর সব পুলিশ সদস্যদের এর মনিটরিং এর আওতায় আনতে হবে। অনেক বছরের জঞ্জাল !!! পুরা ব্যাপারটাই নির্ভর করছে গভর্নমেন্ট কিভাবে দেখতে চায় পুলিশকে তার উপর। রাজনীতি আর পুলিশ !!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ