পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় রিমান্ডে থাকা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ তিনজনকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে তাদের র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই সাহেদকে নিয়ে অভিযান চালাতে পারে র্যাব। র্যাব সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। এছাড়া এনআরবি ব্যাংক থেকে এক কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশই এ মামলার তদন্ত করে আসছিল। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলার দায়িত্ব র্যাবকে দেওয়ায় সাহেদসহ তিনজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। র্যাবই এখন এ মামলার তদন্ত করবে।
তিনি আরো বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অস্ত্র ও জাল টাকার মোট তিনটি মামলা করা হয়েছিল উত্তরা পশ্চিম থানায়। প্রতারণার মামলাটি র্যাবকে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটি মামলার তদন্তভারও আমরা চাইব। এর আগে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিয়ে আনা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেইদিনই গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ সাহেদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পায়। এরপর মামলার তদন্তভার আবার বদল হওয়ায় রিমান্ডের ষষ্ঠ দিনে সাহেদ ও তার দুই সহযোগি পারভেজ এবং শিবলীরকে র্যাবের হাতে দিল গোয়েন্দা পুলিশ।
নাম প্রকাশের র্যাবের এক কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গতকাল গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে সাহেদকে র্যাবের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়েই অভিযানে বের হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই নানা অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর অভিযোগের সত্যতা মেলায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর একের পর অভিযোগ আসা শুরু হয় সাহেদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সুদসহ এক কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে গত বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সাহেদ ছাড়াও ওই মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, এনআরবি ব্যাংকের করপোরেট হেড অফিসের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান ও ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদকে আসামি করা হয়। গতকাল সাহেদকে গ্রেফতার দেখাতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আবেদন করেন বাদী সিরাজুল হক। আদালত গ্রেফতার দেখানোর শুনানির জন্য আগামী ৫ আগস্ট দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।