Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রিমান্ডে সাহেদের নাটক!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রতারক মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম গ্রেফতারের পর থেকে একের পর এক নাটকের জন্ম দিয়েছেন। গতকালও রিমান্ডে অসুস্থতার ভান ধরে ফের আলোচনায় এসেছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও অসুস্থতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাত দিনের রিমান্ডের এক দিনের মাথায় ‘অসুস্থ বোধ করায়’ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তবে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। কিন্তু সাহেদের এমন নাটক গতকাল দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানান, সাত দিনের রিমান্ডে পেয়ে গত সোমবার সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তাকে রমনা থানার হাজতখানায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাতে অসুস্থ বোধ করলে তাকে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে চিকিৎসক সুস্থ বলায় তাকে দুদকে আনা হয়।
ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাহেদ ছাড়াও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতী এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলকে আসামি করা হয়। পরে দুদকের এ মামলায় সাহেদকে গ্রেফতার দেখিয়ে গত ১০ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ সাতদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই নানা অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর অভিযোগের সত্যতা মেলায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর একের পর অভিযোগ আসা শুরু হয় সাহেদের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিয়ে আনা হয়। তবে গ্রেফতারে পর থেকেই তিনি কখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, আবার কখনো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক নাটকের জন্ম দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ