বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোরবানির জন্য সারাদেশে প্রস্তত রয়েছে ১ কোটি ১৮লাখ ৯৩হাজার গরু ও ছাগল। গ্রামবাংলায় গরু ও ছাগল লালন পালন বেড়েছে ব্যাপকহারে। শুধু কোরবানী নয়, সারা বছরের গোশতের চাহিদা পূরণ হচ্ছে দেশে উৎপাদিত গরু ও ছাগলেই। উপরন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ২৬কোটি ২লাখ ৫৭হাজার টাকার গোশত ও গোশতজাত পণ্য রফতানি করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন পশু সম্পদে সমৃদ্ধ।
দৈনিক ইনকিলাবকে এই তথ্য জানান, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডাঃ আব্দুল জব্বার শিকদার। তার কথা, করোনার কারণে এবারই প্রথম কোরবানির পশুহাটে জনসমাগম এড়াতে অনলাইন বেচাকেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের অনলাইনে কোরবানির পশু বেচাকেনার সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্নস্থানে চালু হয়েছে অনলাইন পশুহাট।
সীমান্ত সূত্র জানায়, ভারত এবারও সীমান্তপথে কোরবানিকে সামনে রেখে বাংলাদেশে গরু পাচারের পায়তারা করছে। বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করছে এপারের গরু ব্যবসায়ীদের। কিন্তু কেউ তাদের সাড়া দিচ্ছে না। কারণ কোরবানির পশুহাটে পর্যাপ্ত দেশে উৎপাদিত গরু ও ছাগল উঠেছে। দামও তুলনামূলকভাবে কম। দেশী গরুর গোশতের স্বাদও ভালো। গোশতের আঁশ মোটা নয়। সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দেশী পশুতেই কোরবানি হবে। সূত্র আরো জানায়, সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি এবং চাহিদা না থাকায় ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা মোটেও সুবিধা করতে পারছে না।
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সুত্র জানায়, সারাদেশে ৬লাখ ১৯হাজার ৪শ’১৬টি গরু ও ছাগলের খামার ছাড়াও গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ লালন পালন করা হয়ে থাকে। এই সেক্টরটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সুত্র জানায়,বর্তমানে দেশে প্রায় অর্ধকোটি কৃষক পরিবার গরু পালন করছেন। কোরবানির জন্য খামারীদের মাধ্যমে নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপৃষ্ট করার কার্যক্রম সার্বক্ষনিক নিবীড় পর্যবেক্ষণ করা হয়। যার জন্য এই খাতে দ্রæত সফলতা এসেছে।
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম মোল্যা জানান, একসময় কোরবানির পশুর জন্য ভারত ও মায়ানমারের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো। এখন দেশ কোরবানির পশুতে সারপ্লাস। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষক ও খামারীদের যৌথ উদ্যোগ পাল্টে দিয়েছে চিত্র। হাটবাজারে সবখানেই দেশী গরু ও ছাগল বিক্রি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আগে অনেক খামারে মোটাতাজাকরণে ‘স্টেরয়েড’ ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হতো। তাতে গরুর চামড়ার নীচে পানি জমে ফুলে যেত। এখন ইউএমএস পদ্ধতি অর্থাৎ ইউরিয়া ও চিটা গুড় পানিতে গুলিয়ে বিছালী বা খাবারে ছিটিয়ে দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। সুষম খাবার এবং নিয়মিত কৃমিনাশকের ব্যবস্থাসহ পশুপালনের ক্ষেত্রে আরো যতœবান হওয়ার জন্য খামারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি হয়েছে।
কুষ্টিয়ার আসমত উল্লাহ, পাবনার হাবিবুর রহমান ও যশোরের জসিম উদ্দীনসহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানালেন, গরু লালন পালন করে তারা গত কয়েকবছর বেশ লাভবান হয়েছেন। কোরবানির পশু বিক্রি করার ক্ষেত্রে কোন ঝামেলাও হয়নি। আগে ভারতীয় গরুতে আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।