Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

লাশের হাত-পা বেঁধে অর্থ আদায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

লাশের হাত-পা বেঁধে টাকা আদায়ের অভিযোগ তদন্তে পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরকেও বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণে ঢাকার শাহজাহানপুর থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির ভাইয়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন লিমন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
জহির উদ্দিন লিমন জানান, করোনা পজিটিভ হলেও মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেটে হার্ট ফেইলিয়র এর কথা বলেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা মৃত ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজের বড় ভাই জসিম উদ্দিন রুবেল রিট করেন।
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), শাহজাহানপুর থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রশান্তি হাসপাতালের মালিক ও পরিচালকসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর মালিবাগে বেসরকারি প্রশান্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজ। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেকটা সুস্থ থাকার পরও গত ১৪ জুন ভর্তি হওয়ার পরই তাকে প্রায় জোর করে আইসিইউতে পাঠিয়ে দেন হাসপাতালের আইসিইউ কনসালট্যান্ট ডা. এসএম আলীম। গত ১৮ জুন মহিন উদ্দীন পারভেজ মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের স্বজনদের কাছে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয়।
এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রোগীর স্বজন রুবেলের মোবাইল কেড়ে নেন ডা. আলীমের ম্যানেজার সাইফুল। তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে তাকে র‌্যাবে দেয়া হবে। তার ভাইয়ের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে বেওয়ারিশ হিসেবে দিয়ে দেয়া হবে। লাশের হাত বেঁধে রাখা হয় যেন কেউ নিতে না পারে। পরে রুবেল তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাসপাতাল খরচ ও প্রায় ৬০ হাজার টাকা ওষুধের দাম দিয়ে লাশ ছাড়িয়ে নিয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ