মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বৈশ্বিক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের মধ্যেও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা ভাইরাসকে শুরু থেকেই তাচ্ছিল্য করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজে মাস্ক পরতেন না, অন্যদেরও মাস্ক না পরে ‘সাহস’ দেখাতে উৎসাহ দিতেন। এমনকি করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি ওকলাহোমায় নির্বাচনি সমাবেশেরও আয়োজন করেন সম্প্রতি। তিনি বলেছিলেন, তার সমর্থকরাও করোনাকে ভয় করে না। তাই ১০ লাখ লোক তার জনসভায় আসবে। কিন্তু ১০ লাখ তো দূরের কথা, ১০ হাজার লোকও যায়নি সেখানে। পরে ট্রাম্প ভীষণ লজ্জা পেয়ে আপাতত আর জনসভা করবেন না বলে ঘোষণা দেন।
তবে ট্রাম্প বেশি ভয় পেয়েছেন হোয়াইট হাউজে বেশ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর। এমনকি ট্রাম্পের ছেলের গার্লফ্রেন্ডও করোনায় আক্রান্ত। এখন ট্রাম্প নিয়মিত মাস্ক পরছেন। আর মাস্ক পরেই দায়িত্ব সারছেন তা নয়। এখন তিনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়েও যথেষ্ট সতর্ক। এখানেই শেষ নয়, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য তিনি আর সরাসরি জনসভা কিংবা পথসভা করতে যাবেন না। করোনা পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে দিন-দিন লাগামহীন হয়ে পড়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউজ সূত্র জানিয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, এখন থেকে তিনি ‘ভিডিও সমাবেশ’ করবেন। অর্থাৎ অনলাইনে লাইভ ভাষণ দেবেন আর তার সমর্থকরাও অনলাইনেই শুনবে তার বক্তব্য। শনিবার তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, করোনা ভাইরাস আমাদের স্বাভাবিক জীবনের গতি কেড়ে নিয়েছে এটা আর অস্বীকার করা উচিত হবে না।
এদিকে গতকাল রবিবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি চেয়েছিলেন মিশিগানে বিশাল সমাবেশ করতে কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। খবর ইউএসএ টুডের।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডেমোক্র্যাটরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের স্কুল এবং রাজ্যগুলো বন্ধ রাখছে। তবে মিশিগানের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী সাত সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া মিশিগানে সমাবেশ করার ট্রাম্পের কোনো আবেদন পাননি বলেও জানিয়েছেন গ্রিচেন।
করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৯ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ির পক্ষে নন। তিনি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করারও পক্ষে নন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।