মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার ভারতের করোনা ভ্যাকসিনের বৃহত্তম পরীক্ষা হতে চলেছে। আগামীকাল সোমবার থেকে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করবে দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)। ইতিমধ্যে, মানবশরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছে তারা।
এইমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহের সোমবার থেকে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর তা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। তিনটি ধাপে চলবে ভ্যাকসিন ট্রায়াল। এইমস-এর কমিউনিটি মেডিসিনের কেন্দ্রের অধ্যাপক ডক্টর সঞ্জয় রায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার থেকে হাসপাতালের সুস্থ ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করা হবে।
সূত্রের খবর, ভারতের মোট ১২টি প্রথম সারির হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হবে। এর জন্য ‘ডবল ব্লাইন্ড’ পদ্ধতি মেনে বেছে নেয়া হচ্ছে এই ৩৫৭ জনকে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ১৫ জুলাই বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই 'প্রতিষেধক' প্রয়োগও করা হয়েছে। সবার প্রথমে পাটনা এইমসে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে।
কোনও ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে পারে। প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ভারতের ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ জানিয়েছেন, ‘তিনজন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছিল, আর ভ্যাকসিন নেয়ার পর ওই তিন জনই ভাল আছেন।’
এই তথ্য সামনে আসতেই আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, তাদের কথায়, এটা সবমাত্র প্রথম পর্ব। আশাবাদী হওয়া যায়, কিন্তু এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই। ভারত বায়োটেক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশবাসীর জন্য করোনা টিকা আনা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। যদিও, এতো তড়িঘড়ি করে, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে ভ্যাকসিন আনার বিরোধিতা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: টিওআই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।