মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ্রীসে অবস্থিত উসমানী শাসনামলের অধিকাংশ মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনা অবহেলিত হচ্ছে। ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো অপমানজনক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। নবায়নের নামে কিছু মসজিদ পরিণত করা হয়েছে চার্চে। অন্য অনেক মসজিদ পরিণত করা হয়েছে নাইট ক্লাব, থিয়েটার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনকেন্দ্রে। -ডেইলি সাবাহ
গ্রীসে উসমানী শাসনামলের ইসলামী স্মৃতিবিজড়িত ১০ হাজারের বেশি বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। আয়া সোফিয়াকে নামাজের জন্য খুলে দেওয়ায় গ্রীসের সমালোচনার জেরে অনেকেই দেশটিতে অবস্থিত উসমানী স্থাপনাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ১৪৬৮ সনে গ্রীসের থেসেলোনোকিতে হামজা বে মসজিদটি শুধু নামাজের জন্য ব্যবহৃত হত। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছর পর মসজিদের মিনার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। মিনারের কারুকাজ এবং মূল্যবান পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় কাঠের মিম্বার।
১৯২৭ সনে গ্রীসের ন্যাশনাল ব্যাংকের মালিকানায় আসার পর মসজিদটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে বানানো হয় দোকান ও সিনেমা। ১৯৮০ পর্যন্ত মসজিদটি হল হিসেবে ব্যবহার হয়। লোননিনা প্রদেশের নাদরা অঞ্চলের ফায়েক পাশা মসজিদও গীর্জায় পরিণত করা হয়। ১৯৭০ সালে মসজিদটিকে বানানো হয় বিনোদনকেন্দ্রে। বর্তমানে মসজিদটি পরিত্যাক্ত পড়ে আছে। একইভাবে গ্রীসের রাজধানী এথেন্সসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মসজিদগুলো পরিত্যাক্ত।
উসমানী শাসনের পরে রাজধানী এথেন্সের সবচেয়ে পুরনো মসজিদটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হত। যারা মধ্যে সেনাবহিনীর কারাগার, এবং স্টোররুম হিসাবে ব্যবহার করার মত ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। রোমান আগুরায় অবস্থিত ফাতেহ মসজিদটি সম্পর্কে জানা যায়- এটি উসমানী সুলতান মুহাম্মদ দ্বিতীয়-এর আমলে নির্মিত। ২০১০ সাল পর্যন্ত মসজিদটি ব্যবহৃত হয়েছে স্টোররুম হিসাবে।
২০১৭ সালে এটি মেরামত ও সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর সেটি ব্যবহার হচ্ছে প্রদর্শনী হল হিসাবে। ফাতেহ মসজিদ থেকে কয়েকশ মিটার দূরে সিজডিরিয়া মসজিদ। এটি বছরের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। মাঝেমাঝে যখন খোলা হয়। সিরামিক্স জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি। ইতিহাসের আরো অনেক মসজিদের কোনো হদিস পাওয়া যায় না গ্রীসে। নতুন মসজিদ, গম্বুজ মসজিদ, আইকেল মসজিদ, হুসাইন আফেন্দী মসজিদ ইত্যাদি মসজিদ উসমানী নথিপত্রে উল্লেখ থাকলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।