মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দ্বিতীয় পর্যায়ের আনলকে এখন রোজ রোজ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে রোগী বৃদ্ধির হার এখন আগের থেকে অনেকটাই কম। এরই মধ্যে আশা এবং স্বস্তির খবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। ভারতে করোনার ‘এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর’ তথা ‘আর নম্বর’ এখন কমে এসেছে ১.১১-এ।
এমনই জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের ইন্সটিটিউট অব ম্যাথামেটিকাল সায়ান্সেসের (আইএমএস) গবেষক অধ্যাপক সীতভ্র সিনহা। এই ‘আর নম্বর’ যদি এমনই থাকে তা হলে ২৯ জুলাই ভারতে করোনায় চার লাখ সক্রিয় রোগী থাকতে পারে। উল্লেখ্য, জুনের শেষ সপ্তাহে এই আর নম্বর ১.১৩ হয়েছিল। তার পর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সেটা বেড়ে ১.১৯ হয়ে যায়। আবার সেটা বেশ কিছুটা কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সিনহা। এ আর নম্বরটি আদতে কী? : এটি হল সংক্রমণের হার মাপার একটি গাণিতিক হিসেব। এক জন করোনা রোগী কত জন সুস্থ মানুষকে সংক্রমিত করছেন আর সেই সংখ্যার হিসেবে হার কতটা বাড়ছে, সেটাই হিসেব হয় এই নম্বরটি দিয়ে। এ আর নম্বরটি তিনটে ফ্যাক্টরের ওপরে নির্ভর করে। প্রথমত, এক জন করোনা পজিটিভ রোগীর মধ্যে দিয়ে অন্য জনে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কতটা, দ্বিতীয়ত, আক্রান্ত ও সংক্রমণের সন্দেহে থাকা ব্যক্তিরা কত জনের সংস্পর্শে আসছেন তার গড় হিসেব, তৃতীয়ত, এক জনের থেকে সংক্রমণ কত জনের মধ্যে এবং কত দিনে ছড়াচ্ছে তার গড় হিসেব। সিনহা জানাচ্ছেন গত এপ্রিলে এই আর নম্বর ছিল ১.৮৩।
উল্লেখ্য, এপ্রিলে ভারতে করোনা রোগীর বৃদ্ধির হার ১৫ থেকে কুড়ি শতাংশের মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন তা ৩ শতাংশের আশেপাশে নেমে এসেছে। রোগীবৃদ্ধির হার কমাই, এ আর নম্বর কমে যাওয়ার প্রমাণ। বিশেষজ্ঞরা আগেও বলেছেন, চীন, ইতালি, আমেরিকায় এই আর নম্বর ছিল ২ থেকে ৩-এর মধ্যে। সে কারণে ওই সব দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে অতি দ্রæত। তুলনায় ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর গতি অনেকটাই কম।
এ আর নম্বর ১-এর নীচে চলে এলেই করোনার ওপর নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে। কারণ সেটা হলে একজন সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তবে আর সতর্কতা অবলম্বন না করলে আর নম্বর যে ফের বাড়তে পারে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছেন সিনহা।
বর্তমানে ভারতে সুস্থতার হার রয়েছে ৬৩.০১ শতাংশে। স্বস্তি দিচ্ছে মৃত্যুহারের বড়ো রকমের পতন। বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে ২.৬৩ শতাংশে।
এদিকে গোটা দেশের কাছেই এখন মডেল হয়ে উঠেছে দিল্লি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক হলেও দিন দিন রাজধানীতে কমছে নতুন সংক্রমণ। একই সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতা। দিল্লিতে এই মুহ‚র্তে সুস্থতার হার ৭৯.৯৭ শতাংশ হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, দিল্লির বর্তমান প্রবণতা যদি আরও দেড় থেকে দুই সপ্তাহ চলে, তা হলে কোভিড কার্ভ সমান তথা ‘ফ্ল্যাটেন’ হয়ে যাবে সেখানে। সূত্র : খবর অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।