পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং বিনিয়োগকারী ফাহিম সালেহ নিউইয়র্কের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজের বিলাসবহুল বাসায় মঙ্গলবার খুন হয়েছেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিউইয়র্ক পোস্ট এবং ডেইলি মেইলেও ফাহিমের খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডেইলি নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার সারাদিন ফাহিম সালেহ’র সাথে কোন যোগাযোগ না হওয়ায় বিকাল ৩:৩০ মিনিটে সপ্তম তলায় তার সাথে কথা বলতে যান। সেখানে গিয়ে তার বোন ফাহিম সালেহ›র খন্ড-বিখন্ড লাশ দেখতে পান। এরপর তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখতে পান, একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমকে কাটা হয়েছে। করাতটি পাশেই পড়ে ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশ ভরা ছিল একটি ব্যাগে। ফাহিমের পা কাটার পাশাপাশি হাতও কেটে বিচ্ছিন্ন করেছে খুনি। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো ফ্লোরে খুব একটা রক্ত দেখা যায়নি। নিউইয়র্ক পোস্ট নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এটি টার্গেট কিলিং।
পুলিশকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তা ক্যামেরায় দেখা গেছে কালো স্যুট এবং কালো মাস্ক পরা একজন ব্যক্তির সাথে একই লিফটে প্রবেশ করেন ফাহিম সালেহ। লিফট ফাহিম সালেহ’র অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়ালে দুজনেই সেখান থেকে বের হয়ে যান। এরপর ফাহিম সালেহ তার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। তখন সেই ব্যক্তি ফাহিম সালেহকে অনুসরণ করে। পুলিশ বলছে, এরপর দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
ফাহিম সালেহ’র জন্ম সউদী আরবে। এরপর পরিবারের সাথে তিনি নিউ ইয়র্কে চলে যান। তিনি পড়াশুনা করেছেন নিউ ইয়র্কে। গত বছর ২.২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টটি কেনেন। ফাহিম প্রযুক্তি জগতে নিজের পথচলা শুরু করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নাইজেরিয়াতে ‘গোকাডা’ নামে একটি রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করেন। তার সাথে সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আরো একজন ছিলেন।
ঢাকায় পাঠাও রাইড শেয়ারিং-এর একজন কর্মকর্তা ওসমান সালেহ বিবিসি বাংলাকে জানান, ফাহিম সালেহ হত্যাকান্ডের বিষয়টি তারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় শকড। বিষয়টা কিভাবে ঘটেছে সে সম্পর্কে আমরা এখনো বিস্তারিত কিছু জানিনা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।