পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
মহামারি করোনাভাইরাসের তান্ডবে একদিকে বিপর্যস্ত জনজীবন, অন্যদিকে এই দুঃসময়কে পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বেড়েছে আগ্রাসন। করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গগলস কিংবা প্রোটেকটিভ গাউন এসব সুরক্ষা সামগ্রী মানুষের নিত্যদিনের মৌলিক চাহিদায় পরিণত হয়েছে। ফলে অকল্পনীয় হারে বেড়ে গেছে এসব সামগ্রীর চাহিদা। আর এ চাহিদাকে পুঁজি করে নিয়েছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। ৫ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়, ২৫ টাকার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, ২০ টাকার থার্মোমিটার বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, ১৮০ টাকার স্যাভলন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকায়। ৫০০ টাকার হ্যাক্সিসলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। তাছাড়া এসব অধিকাংশ সামগ্রীই মানহীন এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ। দেখা যাচ্ছে, ইথানল-মিথানল অ্যালকোহলের সাথে ইচ্ছেমতো কাপড়ের রঙ মিশিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তৈরি করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এমনকি এসব সুরক্ষাসামগ্রী তৈরিতে প্রয়োজনীয় কেমিকেলের মিশ্রণের অনুপাতও ঠিক নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষের চাহিদা পুঁজি করে নিম্নমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, হ্যান্ড গøাভস ও পিপিইসহ সুরক্ষাসামগ্রীর নামে নকল পণ্য বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। রাস্তাঘাট, ফুটপাথ, অলিতে-গলিতে, ভ্যানে এখন বিক্রি করছে এসব পণ্য। নকল এসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারে স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিবর্তে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। এ দুঃসময়ে জীবন রক্ষাকারী এসব সামগ্রীর নকল উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ তার উপর চওড়া দাম কোনভাবেই কাম্য নয়। এমনতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- এসব মানহীন, নকল সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণনের সাথে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জড়িত সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন।
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।