মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাকে উপেক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার জেরুসালেমে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাড়ির সামনে জড়ো হোন বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ, দুর্নীতির অভিযোগে তার বিচার চলছে। এই অবস্থায় তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।
সরকারের নির্দেশ ছিল করোনার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের হাতে ধরা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘নেতানিয়াহুর দুর্নীতি আমাদের অসুস্থ করে’, ‘ক্রাইম মিনিস্টার’, ‘আমরা বিরক্ত হয়ে গেছি’, ‘অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ কখনওই দেশের প্রধান থাকতে পারেন না’ ইত্যাদি। ফরাসি বিপ্লবের ২৩১ তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রচুর সংখ্যায় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। পরের দিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ছোটখাট সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেন্ট্রাল জেরুসেলামের দিকেও যান এবং রেল অবরোধ করেন। এর আগে শনিবারও নেতানিয়াহুর আর্থিক নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
ইসরায়েলে এখন করোনার প্রকোপ বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৯০ লাখ মানুষের দেশে ইতিমধ্যে ৪১ হাজার ২০০ জনের করোনা হয়েছে। মারা গেছেন ৩৬৮ জন। বিক্ষোভকারীরা সেই করোনার বিপদ সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন। তেল আভিভ থেকে এসেছিলেন লরেন্ট সিগে। তার দাবি, বিশ্বের সব চেয়ে মারাত্মক ভাইরাস হলো দুর্নীতি, করোনা নয়।
নেতানিয়াহু এক দশেকরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সম্প্রতি তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে। দুর্নীতির অভিযোগ তো আছেই, অর্থনীতি সামলাতে না পারা সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। দেশে বেকারের সংখ্যা ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সমালোচকদের দাবি, তিনি সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
আগামী ১৯ জুলাই জেরুসালেমের জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার শুনানি হবে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়া, জালিয়াতি, আস্থাভঙ্গের অভিযোগ আছে। তার ধনী বন্ধুদের কাছ থেকে বিলাসবহুল উপহার নেয়া, নিজের প্রচারের জন্য বড় মিডিয়া গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেয়ার অভিযোগও আছে। নেতানিয়াহুর দাবি, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তাই তিনি ইস্তফা দেবেন না।
এক বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলার পর গত মে মাসে নেতানিয়াহু নতুন জোট সরকার গঠন করেছেন। ইসরায়েলের আইন অনুসারে একমাত্র আদালত শাস্তি দিলেই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য। আর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মামলা কয়েক বছর ধরে চলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।