Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এখনও যন্ত্রণা ভুলতে পারছে না নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৫ এএম

সুপার ওভারের দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা। ক্রিজে মার্টিন গাপটিল আর জিমি নিশাম, ওদিকে বল হাতে ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার। শেষ দুই বলে তখন তিন রান লাগে। মূল ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষটার মতো দৃশ্যপট! পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে সমীকরণটা এক বলে দুই রানে নিয়ে এলেন গাপটিল-নিশাম। শেষ বলটা ডিপ উইকেটের দিকে কোনোরকমে ঠেলে পড়িমরি করে ছুট লাগালেন গাপটিল। এক রান পেলেন, দ্বিতীয় রানটা নিতে গিয়ে হয়ে গেলেন রান আউট! ব্যস, সুপার ওভারেও টাই!
এমন ম্যাচে কেউ জয়ী বা পরাজিত থাকে না। তাও, ট্রফি তো কোনো এক দলকে দিতেই হবে, তাই বুঝি আইসিসি নিয়ম করে রেখেছিল, সুপার ওভারের পরেও ম্যাচ টাই হলে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারবে, তারাই জিতবে। আর এ হিসাবে ইংল্যান্ড মেরেছে ২৪ বাউন্ডারি, নিউজিল্যান্ড ১৬টি। অর্থাৎ ইংল্যান্ডই জয়ী। একদম শেষ পর্যন্ত গিয়েও তাই খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কিউইদের।
সে যন্ত্রণা কী এখনও পোড়ায় না তাঁদের? এক বছর পর সে দলের কোচ-খেলোয়াড়দের কথা শুনলে সে নিয়ে আর সন্দেহ থাকার কথা নয়! উইকেটরক্ষক টম লাথামের কথাই শুনুন, ‘হ্যাঁ। স্মৃতিগুলো এখনও কষ্ট দেয়। যে যাই বলুক না কেন, আমরা একটুর জন্য জিততে পারিনি সেদিন। আশ্চর্য লাগে, এক বছর হয়ে গেল! আমি নিশ্চিত দুর্ভাগ্যবশত আগামী কয়েকদিন ওই ম্যাচের অনেক ছবি দেখব আমরা।’
সেই দলের কোচ গ্যারি স্টেডের কাছেও অনুভ‚তি একই রকম, ‘কখনো কখনো মনে হয় ঘটনাটা দশ বছর আগের। আবার কখনো মনে হয়, না; মিনিটখানেক আগেই হয়ে গেল কান্ডটা। তবে এটাও সত্যি কথা, শেষ এক দুই বল বাদ দিলে ঐ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক সুখস্মৃতিও পেয়েছি। তবে সেদিন আমরা যেভাবে লড়েছি তাতে আমরা গর্বিত।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিউজিল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ