মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এমিরেটস এয়ারলাইন্স তাদের ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে চাকরি হারাবেন ৯ হাজারেরও বেশি কর্মী। শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। টিম ক্লার্ক বলেছেন, ‘এই হার অন্তত ১৫ শতাংশ হতে পারে। আমরা সে পথেই হাঁটছি।’ এটি বিশ্বে করোনাভাইরাসের সময় কোনো বিমান সংস্থায় ছাঁটাইয়ের সবচেয়ে বড় তালিকা। করোনা সংকটের আগে এই বিমান সংস্থাটি কর্মী সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার।
বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে নানা ধরণের প্রভাব পড়েছে করোনাভাইরাসের কারণে। কিন্তু আশঙ্কার কথা হচ্ছে সংস্থাগুলো ক্ষতির মাত্রা কোনোভাবেই কমাতে পারছে না। মধ্য প্রাচ্যের বৃহত্তম বিমান সংস্থা এমিরেটসের বিমান বহরে রয়েছে ২৭০ টি বড় যাত্রী পরিবহণ বিমান। করোনার বিস্তার রোধে বৈশ্বিক শাটডাউনের অংশ হিসাবে মার্চ মাসের শেষের দিকে তারা বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দু’সপ্তাহ পরে তারা আবার সীমিত আকারে যাত্রী পরিবহণ শুরু করে। আগস্টের মাঝামাঝি নাগাদ তারা ৫৮ টি শহরে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সঙ্কটের আগে প্রায় তারা ১৫৭ শহরে ফ্লাইট পরিচালনা করত।
এত বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে টিম ক্লার্ক বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলছেন, ‘আমরা অন্য সংস্থার মতো অতটা খারাপ অবস্থানে নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই মহামারির আগেও আমরা বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থা হিসেবে খবরের শিরোনামে এসেছিলাম।’ তবে এই মহামারি বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলো এবং যানবাহনের সঙ্গে জড়িতে ব্যক্তিদের উপর বড় ধরণের প্রভাব ফেলবে। তাদের জীবনযাত্রার মান মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটাচ্ছে। এটি এমিরেটস সহ চাকরি হারানো সব সংস্থার কর্মীর জন্য খুবই দুঃখজনক।
বিশ্বের অন্তত ৭শ’ সংস্থার ৪ হাজার ৫০০ বিমান চালক তাদের কর্মস্থল থেকে কোনো কারণ ছাড়াই নেতিবাচক নোটিশ পেয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ২০০ বিমান চালক বলছেন, করোনাভাইরাস শুরুর পর তারা চাকরি হারিয়েছেন। এই ছাঁটাইয়ের প্রভাব বেশি পড়েছে এয়ারবাস এবং বোয়িংয়ের চালকদের ওপর। এ দুটি কোম্পানি বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং প্রভাবশালী।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা (আইএটিএ) ২৯০টি বিমান সংস্থা পরিচালনা করে থাকে। তারা কিছুদিন আগে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলো এ বছরের শেষ নাগাদ অন্তত ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে। এই সপ্তাহে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ তাদের ছাঁটাই হওয়া কর্মীর সংখ্যা অন্তত ৩৬ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, আশঙ্কাজনক হারে ফ্লাইট এবং যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়া। যার জন্য প্রতিদিনই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোউন-এর নির্বাহী পরিচালক এবং জ্যেষ্ঠ গবেষক হেলেন বেকার বলছেন, ‘এই মহামারি অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকবে। করোনার ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক যাই আসুক যোগাযোগ বিষয়ক ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশ সময় লেগে যাবে।’ সূত্র : জিও নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।