পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারকে ভাইব্রেন্ট করতে গত দেড় মাসে কয়েকটি ভালো কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছি। এর মধ্যে ওয়ালটনের মতো ভালো কোম্পানিও রয়েছে। শিগগিরই আরও একটি অনুমোদন দিচ্ছি। আমরা পুঁজিবাজারে সুশাসনের বিষয়টি বিশেষ জোর দিয়েছি। গুরুত্ব দিয়ে বন্ড মার্কেট ও ডেরিভেটিবস নিয়ে কাজ করছি।
শুক্রবার (১০ জুলাই) রাতে কালার্স ম্যাগাজিন আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেটের পুনঃনির্মাণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, নতুন নতুন ভালো কোম্পানির যাতে আইপিও আসে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখছি। ইতিমধ্যে ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে আসার জন্য আহ্বান করেছি। সব কাগজ ঠিক থাকলে আমরা যেকোনও দরখাস্ত অনুমতি দেবো।
ফ্লোর প্রাইস সম্পর্কে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার মজবুত না হওয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস থাকবে। বিনিয়োগকারীরা একটু ধৈর্য ধরুন। পুঁজিবাজার ঠিক হোক। করোনার মধ্যে আপনারা (বিনিয়োগকারী) যেভাবে পুঁজিবাজারকে গত কয়েকদিন মজবুত করার স্পৃহা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, দেখবেন পুঁজিবাজারে একদিন ফ্লোর প্রাইস থাকবে না।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিএসইসির আগের চেয়ারম্যান দেশের পুঁজিবাজারে একটি কাঠামো (ইনফ্রাস্ট্রাকচার) গঠন করে গেছেন। প্রয়োজনীয় নীতিমালাও তৈরি করেছেন। এখন সময় হচ্ছে ভালো ক্যাপিটাল মার্কেট দেওয়া। তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। কাঠামো, নীতিমালা ও সুযোগ-সুবিধা সব পেয়েছি। এরপরও কিছু কাজ করতে হবে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মার্কেটকে ঠিকভাবে গড়ে তোলা।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়ে কাজ করছি। গত পরশু এ নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় প্লেসমেন্ট দেবো কিনা, দিলে কতটুকু দেবো এবং কে বা কারা পাবে এসব নিয়ে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচন বিষয়ে সফটওয়্যার তেরির কাজ শেষ। এই সফটওয়্যারে সব ক্রাইটেরিয়া পালন করে কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক হবার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যারা ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে পারবে নাÑতারা স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবে না।
ইতিমধ্যে করোনাকালীন ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্পূর্ণ করার অনুমতি দিয়েছি। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা যাতে ডিভিডেন্ড পায়, সেই বিযয়টিও নিশ্চিত করেছি। পুঁজিবাজারে সম্পূর্ণ অনলাইনে ট্রেডিং বিযয়টি নিয়ে অনেকের সাথে আলোচনা হচ্ছে। এটি সময়ের ব্যাপার।
সভায় আরও যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ডা. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, কালার্স ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা জিয়াউল করিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।