Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই অঙ্কের ঘরে সুদহার

৫ ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনার কথা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানছে না অন্তত ১৩ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি খাতের ১২টি এবং বিদেশি খাতের একটি ব্যাংক। তবে এ সময়ে বেশিরভাগ ব্যাংক ঋণের সুদ ৯ শতাংশের নিচে নামানোর পাশাপাশি আমানতের সুদহার কমিয়ে এনেছে। এতে সার্বিক ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের সুদ ব্যবধান (স্প্রেড) ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অবশ্য আগের মাস এপ্রিলের তুলনায় মে-তে সুদের ব্যবধান সামান্য বেড়েছে। ব্যাংকগুলোর পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য মতে, ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা থাকলেও বেসরকারি ও বিদেশি খাতের অন্তত ১৩টি ব্যাংক মে মাস পর্যন্ত তা কার্যকর করেনি। এ তালিকায় রয়েছে বেসরকারি খাতের ১২টি এবং বিদেশি খাতের একটি ব্যাংক। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা। কিন্তু ঠিক কী কারণে এসব ব্যাংক নামিয়ে আনেনি সেটা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা গেছে, ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদ এক অঙ্কে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, সব ধরনের ঋণ ও বিনিয়োগের ওপর সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ। গ্রাহক কোনো কারণে খেলাপি হলে ওই সময়ের জন্য ঋণের স্থিতি বা কিস্তির বিপরীতে ৯ শতাংশের বাইরে অতিরিক্ত আরো ২ শতাংশ সুদ আরোপ করা যাবে। এর বাইরে ঋণের বিপরীতে অন্য কোনো সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে না। কিন্তু এপ্রিল মাসে ১৫টি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ৯ শতাংশের নিচে সুদ নামাতে ব্যর্থ হয়। আর মে মাসে ব্যর্থতার তালিকায় আছে ১৩টি। আলোচ্য সময়ে যেসব ব্যাংক এখনো দশ শতাংশের ওপরে ঋণ বিতরণ করছে সেগুলো হলো- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং মধুমতি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তা ঋণ ছাড়া মে মাসে ব্যাংক খাতের গড় সুদহার নেমেছে ৮ দশমিক ০৯ শতাংশে। গত এপ্রিলে যা ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ সময়ে আমানতের গড় সুদহার ৫ দশমিক ২৪ শতাংশে নেমেছে, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দমমিক ৩৭ শতাংশ। ফলে ব্যাংকগুলোর সুদের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ২ দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তা ঋণসহ ব্যাংকিং খাতে মে মাসে গড় সুদহার নেমেছে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশে। গত এপ্রিলে যা ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ সময়ে আমানতের গড় সুদহার ৫ দশমিক ২৪ শতাংশে নেমেছে, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ফলে ব্যাংকগুলোর সুদের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা এপ্রিলে ছিল ২ দশমিক ৯২ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তা ঋণ ছাড়া মে মাসে বেসরকারি ব্যাংকের ঋণের গড় সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর আমানতে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ফলে তাদের গড় স্প্রেড নেমেছে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশে। এ সময়ে বিদেশি ব্যাংকগুলো গড়ে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সুদে আমানত এবং ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে। এসব ব্যাংকের স্প্রেড নেমেছে ৫ শতাংশে। সরকারি মালিকানার বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো গড়ে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ সুদে আমানত এবং ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে। ফলে তাদের স্প্রেড নেমেছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশে। অন্যদিকে এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশে আমানত ও ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশে ঋণ দিয়েছে। এতে তাদের স্প্রেড নেমেছে ২ দশমিক ১২ শতাংশে।



 

Show all comments
  • Atiqur Rahman Pintu ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৭ এএম says : 0
    পূজিবাজারের স্বার্থে মার্চেন্ট ব্যাংকের সুদহার নিয়ে রিপোর্ট হওয়া উচিত !!!
    Total Reply(0) Reply
  • Nurul Islam ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৭ এএম says : 1
    সুদের হার ১৫% করেন।আমানতের সুদ হার১২% করেন।না হলে ব্যাংক বেচে পালাতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Liaquat Ali ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
    রাজনৈতিক প্রভাবশালী, ব্যাংক মালিক, পরিচালক ও ব্যবসায়ী—এই চার পক্ষ বোঝাপড়ায় চলছে লুটপাট ।লুটপাটের টাকা সেকেন্ড হোমে জমে পাহাড় হচ্ছে । ইনডেমনিটির মত লুটেরাদের সুরক্ষা আইন হয়েছে ।এখন বাকী রইল নন ব্যাংক খাত স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থের লুটপাটের আয়োজন ! ডাকাত এসেছিল ......শুধু লুটপাট করেই ক্ষান্ত হয়নি যাওয়ার আগে আগুন দিয়ে সব ছারখার করে দিয়ে গেছে !
    Total Reply(0) Reply
  • aktaruzzaman ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
    মাটির নিচে টাকা রাখতে হবে । ব্যাংকিং সিস্টেম শেষ, ডাকঘর আর টাকা নিতে চাচ্ছে না । মাটির নিচে রাখা ছাড়া আর জায়গা নাই ।
    Total Reply(0) Reply
  • Hannan Kabir ১০ জুলাই, ২০২০, ১:২০ এএম says : 0
    অনেকে টাকা উঠিয়ে নেবে । আশাকরি সরকার সেই পরিস্থিতি সামাল দেবার বিষয়টিও মাথায় রেখেছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Hannan Kabirshahed alam choudhury ১০ জুলাই, ২০২০, ১:২০ এএম says : 0
    সুদ বা মুনাফার ব্যাপার টা বাদ দিয়ে সরকারের উচিত ব্যবসায় বিনিয়োগে উতসাহিত করা। বড় বড় শিল্প গ্রুপে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিলে সবাই উপকৃত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ হেদায়েতুলইসলাম ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৬ এএম says : 0
    এখানে হোম লোন এ-র ব্যাপারএ কিছু বলা হয় নি যেমন আই ডি এল ছি। আই পি ডি ছি তাদের উচ্চ হারে সুদ কাটা বন্ধ হয় নি তাদের ব্যাপার সরকারের সিদ্ধান্ত জনসাধারণের জানা উচিৎ
    Total Reply(0) Reply
  • Ashit Kumar Sarkar ১০ জুলাই, ২০২০, ২:২৬ পিএম says : 0
    None but the bankers are looser due to 9/6 decision. Bankers are facing salary reduction, early retirement, force retirement etc. Actually there is no gurdian in banking sector. Where is Bangladesh Bank? Does we need BB in our country? Finance ministry can regulate all financial institutions of Bangladesh!
    Total Reply(0) Reply
  • Sk.Tanvir Ahmmed ১০ জুলাই, ২০২০, ৮:০২ পিএম says : 0
    IDLC Finance হোমলোনের সুদের হার কমাচ্ছে না। সুদের হার কমানোর জন্য আবেদন করেছি কিন্তু তারা আমলে নিচ্ছে না। IDLC এর ভাব তারা সরকার থেকেও বড়।
    Total Reply(0) Reply
  • Piyaray kanak ১০ জুলাই, ২০২০, ৯:১৭ পিএম says : 0
    IDLC non bank finance company not bank, 9 percent only Bank a
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজুল হক ১০ জুলাই, ২০২০, ৯:১৭ পিএম says : 0
    আমি একটি গরুর খামার করার জন্য লোন পাচ্ছি না।
    Total Reply(0) Reply
  • Nirjhor ১০ জুলাই, ২০২০, ৯:২২ পিএম says : 0
    DBH authority doesn't care about BBs circulars. They think that they are not a bank. The circular was on all financial institution. Still, their interest rate is 11-12%. The government ordered to adjust interest from 1st of April but DBH still killing their time. They don't bother about the client. When increase interest within a minute they increase interest rate but when reduce it takes 3 to 4 months.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad ali ১১ জুলাই, ২০২০, ৭:৫২ পিএম says : 0
    বিশ্ব মানবতার জয় হোক ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad ali ১১ জুলাই, ২০২০, ৭:৫২ পিএম says : 0
    বিশ্ব মানবতার জয় হোক ।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwarul Azam ১১ জুলাই, ২০২০, ৯:৫০ পিএম says : 0
    Where is Credit Card ? Any problem..
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ