Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাপুলের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে কুয়েত বিমানবন্দর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২০, ২:০১ পিএম

কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুলের মালিকানাধীন কোম্পানির সঙ্গে ক্লিনিং সেবা প্রদানের চুক্তির মেয়াদ আর না বাড়িয়ে চুক্তিটিই বাতিল করে দিয়েছে কুয়েত ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটির এমডি ও সিইও হচ্ছেন কুয়েতে আটক বাংলাদেশি এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল। মঙ্গলবার আল কাবাস পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের চুক্তির মেয়াদ না বাড়লেও কুয়েত সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্লিনিং সেবা প্রদানের চুক্তি রয়েছে পাপুলের কোম্পানির। এখনও সেগুলো বলবৎ আছে।

কুয়েতে পাপুলের চারটি কোম্পানি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যে কোম্পানির ক্লিনিং চুক্তি এখনও বৈধ আছে, সেটির একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি রাজধানী কুয়েত সিটি এবং হাওয়ালি গভর্নেটের বিভিন্ন স্থানের দেখভাল করে।

এই চুক্তিগুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে কুয়েত সরকার। কারণ পাবলিক প্রসিকিউটরের সিদ্ধান্তে ওই কোম্পানিগুলোর অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। ফলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে এবং তারা এজন্য যেকোনও সময়ে বিক্ষোভ করতে পারে।
গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কীভাবে তিনি মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারা সহায়তা করেছে ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে। তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন খরচ বাদেও প্রায় ৬০ কোটি টাকা লাভ করতো। এছাড়া পাপুলের এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করতে ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছে পাবলিক প্রসিকিউটর।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৮ জুলাই, ২০২০, ১১:৩১ পিএম says : 0
    তিন যুগের কাছাকাছি কয়েতে ব‍্যবসা বৈধ ভাবে ব‍্যবসা করে গভীর ষড়যন্ত্রের ফাদে পড়ে আজ আদম পাচারকারী নানাভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। কুয়েত সরকারের উচ্চ মহলের কাছে হঠাৎ আদম পাচার কারী বানানোর প্রয়োজন হলো কেন??কার জন্যে এতোবড় ব‍্যবসায়ী রাতারাতি অপরাধী হয়ে গেল??? কোন তথ্য প্রমাণ উপযুক্ত কিছুই ছিলো না। লাখো শ্রমিককের মাঝে কয়েক জন আদালতে শিখানো কথায় আদম পাচারকারী বলার আইন গত যুক্তি আছে?? আদম পাচার কারি কাকে বলে আইনের সংজ্ঞা কি?? বৈধ ভাবে কুয়েতের রাষ্ট্রের যাবতীয় আইনে শতভাগ বৈধভাবে ব‍্যবসা করেছেন। এদের রাষ্ট্রিয় ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হলো পাপলো। লাখ লাখ প্রবাসী কুয়েত সরকার দেশে পাঠিয়ে দিবেন ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে গাড়ি টাকা ঐগুলো ঐদেশে ব‍্যবসার কারণে উপহারসামগ্রী ঘুষে পরিনণ হলো।। আমার দৌদ্দ গুষ্টির সাথেও পাপলুর দেখা হয়নি। হবেনা। বিবেক দিয়ে বুঝতে পারছি সুদূর প্রশারী গভীর চক্রের মাঝখানে পাপলো। ঐ দেশের রাষ্ট্রের প্রধান সহ তার বিরুদ্ধে বাচার রাস্তা বন্ধ আন্তর্জাতিক আদম পাচার টাকা পাচার সমানভাবে লিখেছেন বলা হচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে আইন যদি সত্যিকার থাকে। আমার বিশ্বাস পাপলো মুক্ত হবে। রাষ্ট্র যদি কারো উপর নারাজ হয় খতি করতে চায় তার বাচার পথ থাকেনা। আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ্ বলেন আমি মৃত কে জীবিত করি। আমি বাদশা ফকির বানাই। এর পকৃত প্রমাণ এটি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুয়েত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ