পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করম আলি ‘দ্য মুজাফ্ফরনামা অব করম আলি’ গ্রন্থে আলিবর্দি খানের বংশের সব নারীদের হত্যা করার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রায় ৭০ জন নিরপরাধ বেগমকে একটি নৌকায় চাপিয়ে মাঝ-গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হয়, আর সেখানেই নৌকাটি ডুবিয়ে দেয়া হয়। সিরাজউদ্দৌলার বংশের বাকি নারীদের বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়।
‘নৌকাডুবি আর বিষ খাইয়ে যাদের হত্যা করা হল, সবাইকে একই সঙ্গে নদীর ধারেই খোশবাগ নামের একটি বাগানে দাফন করা হয়েছিল’। শুধু একজন নারীকে মেরে ফেলা হয়নি, তিনি ছিলেন সিরাজউদ্দৌলার অসাধারণ সুন্দরী স্ত্রী লুৎফ-উন-নিসা। মীর জাফর আর তার ছেলে মীরান - দুজনেই তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
করম আলি লিখছেন, ‘লুৎফ-উন-নিসা বাবা-ছেলে দু’জনের প্রস্তাবই এই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন যে, প্রথমে হাতির পিঠে চড়েছি, এখন গাধার পিঠে চাপা সম্ভব নয়’।
মীর জাফরের পতন : পলাশীর যুদ্ধের বছরখানেকের মধ্যেই মীর জাফরের তেজ ধীরে ধীরে নিভে আসতে শুরু করে। কিছুদিন আগেও যে ক্লাইভ মীর জাফরের হয়ে কথা বলতেন, তিনিও তাকে ‘দ্য ওল্ড ফুল’ বা ‘বোকা বুড়ো’ বলে, আর তার ছেলে মীরানকে ‘আ ওয়ার্থলেস ডগ’ বা ‘বেকার কুকুর’ বলে উল্লেখ করতে থাকেন। আলস্য, অক্ষমতা আর আফিমের নেশা মীর জাফরকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল।
১৭৫৮ সালের ১১ নভেম্বর ক্লাইভ জন পিনকে লেখা এক চিঠিতে বলছেন, ‘যে ব্যক্তিকে আমি মসনদে বসিয়েছিলাম, সে অহঙ্কারী, লোভী আর কথায় কথায় গালিগালাজ করা এক লোকে পরিণত হয়েছে। তার এ ব্যবহারের জন্য নিজের প্রজাদের কাছ থেকেই সে দূরে সরে যাচ্ছে’। ক্লাইভ ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার আগে অবধি মীর জাফর তার সৈন্যদের ১৩ মাসের বকেয়া বেতনের মাত্র তিনটে কিস্তি দিতে পেরেছিলেন। বেতন না পেয়ে সৈনিকরাও ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছিল।
স্যার পেন্ডেরল মুন তার বই ‘ওয়ারেন হেস্টিংস অ্যান্ড ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে লিখেছেন, মীর জাফরের বাহিনীর ঘোড়াগুলোর অস্থিচর্মসার হয়ে পড়েছিল আক্ষরিক অর্থেই। তাদের শরীরের হাড় গোনা যেত। সেগুলোর পিঠে যারা চাপত, তাদের অবস্থা সামান্য উন্নত ছিল। এমনকি জমাদাররাও (অফিসার পদের নাম) ছেঁড়াফাটা পোশাক পরতে বাধ্য হতেন। পলাশীর যুদ্ধের তিন বছরের মধ্যেই ভারতের অন্যতম ধনী শহর মুর্শিদাবাদ দুস্থ হয়ে পড়ল। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।