পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ পরিণতির জন্য মীর জাফর অনেকাংশেই দায়ী। গুলাম হুসেইন খান লিখছেন, ‘সব সময়েই দামী গয়না-জহরত পরার একটা শখ ছিল মীর জাফরের। কিন্তু নবাব হওয়ার পরেই নানা রত্মখচিত ছয়-সাতটা গয়না পরতে শুরু করেছিলেন তিনি। গলায় তিন-চারটে মুক্তোর মালা থাকতো সবসময়েই। তার গান শোনা চাই আর নারীদের নাচ দেখা চাই’।
কিছুদিনের মধ্যেই মানুষ বুঝতে পারল যে, বাংলা শাসন করার ক্ষমতা মীর জাফরের নেই। তার আচার ব্যবহার একজন অশিক্ষিত আরব সৈন্যর মতো হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যার রাজ্য সামলানোর কোনও দক্ষতাই ছিল না। স্যার প্যান্ডেরল মুন তার বই ‘দ্য ব্রিটিশ কনকোয়েস্ট অ্যান্ড ডমিনিয়ন অব ইন্ডিয়া’ বইটিতে লিখেছেন: ‘ক্লাইভ ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার জাহাজে ওঠার আগে বলেছিলেন, মীর জাফরের শাসন করার কোনও ক্ষমতাই নেই। প্রজাদের ভালবাসা আর বিশ্বাস জয় করতেও সে অক্ষম। তার কুশাসন বাংলাকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে’।
তিনশো’র বেশি হত্যা করেছিল মীরান
একদিকে যখন মীর জাফরের রাজ্য শাসনে অক্ষমতা পরিষ্কার হচ্ছে, তখন তার ছেলে মীরান নিষ্ঠুরতা চালিয়েই গেছে। দয়া বা ঔদার্য - এই শব্দগুলো তার অভিধানে ছিলই না। তার সবথেকে বড় চিন্তা ছিল আলিবর্দি খানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে - যাতে ভবিষ্যতে কোনওদিন বিদ্রোহের কোনও সম্ভাবনাও না থাকে।
গুলাম হুসেইন খান লিখছেন: ‘আলিবর্দি খানের পুরো হারেম নদীতে ডুবিয়ে তো দিয়েইছিল মীরান, তারপরে তার নজর পড়ে সিরাজের সবচেয়ে কাছের পাঁচ আত্মীয়ের পরিবারের দিকে। সিরাজের ছোটভাই মির্জা মেহেদীকে দুটো কাঠের তক্তার মাঝে রেখে পিষে মেরেছিল মীরান। ওই হত্যাকান্ডের যুক্তি হিসাবে সে বলেছিল, সাপ মারার পরে তার বাচ্চাদের বাঁচিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়’।
‘সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের যতজন সদস্যকে সে হত্যা করেছিল, তার একটা তালিকা সে নিজের কাছে রাখত। খুব কম সময়ের মধ্যেই সেই তালিকায় নামের সংখ্যা ৩শ’রও বেশি হয়ে গিয়েছিল’, -লিখছেন গুলাম হুসেইন খান। তার প্রতিদ্ব›দ্বীরা আর আগের প্রশাসনের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মীরানকে রাজপ্রাসাদের প্রধান ফটকের কাছেই হয় ছুরি দিয়ে হত্যা করেছিল, বা বিষ খাইয়ে মেরেছিল।
ওয়ারেন হেস্টিংস যখন সিরাজের পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার ঘটনাগুলো শুনলেন, তারপরে তিনি কলকাতায় পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছিলেন: ‘এই পাশবিক হত্যাকারী যা করেছে, তার পক্ষে কোনও যুক্তিতর্কই টেকে না। আমি এই কথা বলার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, কিন্তু তবুও বলছি, এরকম একজনকে আমাদের সমর্থন করা কোনওভাবেই সঠিক হবে না’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।