পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে পলাশী দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ধুলিসাৎ করা চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্র রোধ করতে না পারলে আমাদের জীবনে আবারো পলাশীর মতো মহাবিপর্যয় নেমে আসতে পারে। পুঁজিবাদি অসভ্য শোষনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সংগ্রাম শুরু হওয়ায় বিশ্বশয়তানী চক্র বর্তমানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নয়া মুখোশে বহুজাতিক কোম্পানীর হাতিয়ার নিয়ে ময়দানে নেমেছে। অবাধ পুঁজিবাদী বাণিজ্য ও লুটপাট অব্যাহত রাখতে বিশ্বায়নের নামে নতুন চেহারায় মাঠে নেমেছে লর্ড ক্লাইভের উত্তরসূরীরা। নাম, দল, গোষ্ঠী ও উপদলে ভাগ করে জাতিগুলোকে আত্মকলহে ও ঠুনকে ক্ষমতার লড়াইয়ে ব্যস্ত রাখছে। যাতে করে নির্বিবাদে শোষণ ও লুন্ঠন করা যায়। মুখোশধারী বিশ্বাসঘাতক অনেক মীর জাফর, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, জগৎশেঠ তাদের চক্রান্তে সহায়তা করছে আমাদের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার জন্য।
প্রফেসর ড. মোহাম্ম ছিদ্দিকুর রহমান খান তাঁর আলোচনায় বলেন, কিছু তথাকথিত ইতিহাসবিদ সত্যিকার ইতিহাসকে বিকৃত করে নবাব চরিত্রকে খারাপভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। আসলে নবাব ছিলেন একজন সৎ চরিত্রের আদর্শবান শাসক, নির্ভেজাল দেশপ্রেমিক। কিন্তু তার সহচররা তার বিশ্বাসের সঠিক মূল্য দিতে পারেনি। এটা কোনোভাবেই নবাবের দোষ হতে পারে না। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ। জাতি তাঁকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। গতকাল তমদ্দুন মজলিসের ফেসবুক পেইজে তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন তমদ্দুন মজলিসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর(অব) জামিল আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আসাদুজ্জামান খান তাওহিদ এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করেন এম এইচ সুজন মাহমুদ। উল্লেখ্য পলাশী দিবস ২০২১ উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, পলাশীর ইতিহাস ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। আমাদের জীবনের বেদনাময় এক শোকস্মৃতির ইতিহাস। এ ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এসব শয়তানি অপশক্তি রুখে দেয়ার জন্য শিসা ঢালা প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে অন্যথায় পলাশীর মতো মহাবিপর্যয় আমাদের জীবনে আবারো নেমে আসতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।