Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাত্র ১২ দিনেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ৮:৪১ পিএম

মাত্র ১২ দিনেই এক ছাদের তলায় ১০ হাজার শয্যার করোনাভাইরাস চিকিৎসার হাসপাতাল চালু করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণার সরকারি সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
দৈর্ঘ্যে একহাজার ৭০০ ফুট, প্রস্থে ৭০০ ফুট ছাদের নিচে বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতালটিতে ১০ হাজার শয্যা তৈরি করেছে দেশটির ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
আজ রোববার ভারতের রাজধানীতে ‘সর্দার পটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল’ নামের হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। একসঙ্গে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
দক্ষিণ দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই একটি বিশাল জায়গায় হাসপাতালটি অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালে ২০০ কক্ষ বা ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে ৫০টি বেড বা শয্যা রয়েছে। অর্থ্যাৎ ১০ হাজার বেড সেই হাসপাতালে রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ১০ হাজারের মধ্যে ২৫০ শয্যায় আইসিইউ-এর ব্যবস্থা রয়েছে। ১০০০ বেডে রোগীদের অক্সিজেন দেয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে মৃদু করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হবে।
হাসপাতালের উদ্বোধনের পর দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন (এনসিআর)-এর লোকেরা এ হাসপাতালে পরিষেবা পাবেন। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও নার্সের পাশাপাশি মানসিকভাবে ভেঙে পড়া করোনা রোগীদের কাউন্সেলিং করা হবে। তাই সেখানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রাখা হয়েছে।
পরে হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়া ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, সর্দার পটেল কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করলাম, যা রেকর্ড কম সময়ের মধ্যে টাটা সন্স, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বানিয়েছে ডিআরডিও। এই সঙ্কট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে ডিআরডিও, টাটা সন্স ও সেনাবাহিনী। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ডিআরডিও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, টাটা সন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও অনেকের সাহায্যে মাত্র ১২ দিনে এ হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। হু-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৫০ আইসিইউ বেড তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনাভাইরাসের হাসপাতাল সামলাবে দেশটির সেনাবাহিনী। প্রথম মাসের জন্য চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ মিলিয়ে মোট ৬০০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে বিশাল ডাম্পিং গ্রাউন্ডও। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এ বর্জ্য নষ্ট করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বূপূর্ণ। এছাড়া দেশীয় প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর সহ অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরির প্রযুক্তিও রয়েছে ডিআরডিও-র।
সতীশ রেড্ডি বলেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখনো পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে অন্তত ৭০টি পণ্য তৈরি করছে ডিআরডিও। এখন প্রতি মাসে অন্তত ২৫ হাজার ভেন্টিলেটর তৈরি করতে পারব। এমনকি, বিদেশে রফতানিও করতে পারব। সূত্র: আনন্দবাজার



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ