Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিএনসিসিতে ৯৯ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, প্রায় তিন লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ৬:৩১ পিএম

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় দফা পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ রোববার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ১৩ হাজার ২৯৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৯৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৭৯৪টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ১৮টি মামলায় মোট ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১৩১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ৪টি মামলায় মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৯২৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৮৫৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪২১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮টি মামলায় মোট ১ লাখ ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৪৯৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯৯২টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৫৭২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭২৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৯৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এসময়ে ২টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ৬১১টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩৫৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৯৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯৪৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭০৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৩৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৫১০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৯৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩০৭টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

সাঁতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬১৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫০৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

সকল সম্ভাব্য এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী (৬-১৫ জুন) চিরুনি অভিযানে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৬০১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোট ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএনসিসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ