Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাভাবিকত্বের নতুন ধারা ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ

টাইম্স অফ ইন্ডিয়া | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষাক্ষেত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। প্রচলিত শ্রেণিকক্ষভিত্তিক শিক্ষণটি বর্তমানে একটি প্রযুক্তি কেন্দ্রিক কার্যক্রমে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে এটি শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ উন্মুক্ত করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এটি একটি অভূতপূর্ব সময় এবং শিক্ষকরা এই চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে শুরু করেছেন। তারা এই পরিস্থিতিতে অনভ্যস্ত ও অপরিচিত সরঞ্জাম এবং সরবরাহের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন, যা প্রত্যাশিত ছিল না।
ই-লার্নিং বা অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে এমন ধারণার বিপরীতে শিক্ষকরা দ্রুত এই নতুন কার্যক্রমের সাথে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং তাদের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষগুলিকে সর্বোচ্চ ব্যবহারোপযোগী করার জন্য তাদের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছেন। ই-লার্নিং সফল করার জন্য সঠিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার আবশ্যক। প্রযুক্তির যথাযযথ ব্যবহার শিক্ষার্থীদের নির্দেশিত শিক্ষা পদ্ধতি আয়ত্বে আনার ক্ষমতা দেয়, যা তাদের শিক্ষাগত অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।

ভার্চুয়াল পাঠের জন্য আরও বেশি কম্পিউটারের প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চতর শ্রেণির ডিজিটাল পাঠের জন্য জটিল গণিত সূত্র এবং ভারী তথ্য চিত্রায়নের জন্য শক্তিশালী প্রসেসরের প্রয়োজন। এই সরঞ্জামগুলি বিবেচনা করার সময় কেবলমাত্র অর্থই নয়, ই-লার্নিং পদ্ধতি ও উচ্চমাণের এপ্সগুলির সমন্বয়নাধনও প্রয়োজন। দূরশিক্ষণের জন্য একটি ইন্টেল প্রসেসর ভিত্তিক নোটবুক বা ডেস্কটপ কম্পিউটার, উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ, ভিডিও কনফারেন্সিং সফ্টওয়্যার, এলএমএস এবং অন্যান্য শিক্ষার সরঞ্জামগুলির সংযোজন অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। একটি মসৃণ ভার্চুয়াল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সঠিক ডিভাইসটি বাছাই করা অত্যাবশ্যক। ডিজিটাল শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কেবল মুখস্থ করে পরীক্ষা দেয়ার চেয়ে আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম করে। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি এবং আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির এই সুযোগটি শিক্ষকদের অভিভ‚ত করতে পারে।

গবেষক থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের লক্ষ্য ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষগুলিতে বর্তমান সময়ের নতুন স্বাভাবিক পরিবর্তনকে সহজতর করা এবং সময় ব্যবস্থাপনাসহ প্রতিটি বিষয়ে জোর দেওয়া। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সক্ষমতা বাড়ানো। এটি সবার জন্য ঝামেলা মুক্ত, কার্যকর এবং টেকসই ডিজিটাল শিক্ষার অভিজ্ঞতা তৈরি করার জন্য একটি ধাপ। যদিও অনেকে করোনা মহামারির সৃষ্ট সঙ্কটের কারণে এখনও কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন, তবে, এর মধ্যেও ভার্চুয়াল শিক্ষা পদ্ধাতসহ কিছুটা ইতিবাচক বিষয় রয়েছে। যদি শিক্ষাকার্যক্রমে ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ এবং মুখোমুখি পাঠদানের সমন্বয় ঘটে, তবে শিক্ষকদের অভ্যস্ত গন্ডির বিস্তার ঘটানো যেতে পারে। ভার্চুয়াল শিক্ষাকে চ্যালেঞ্জ মনে করার পরিবর্তে সামনাসামনি পাঠদানের একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ করে তোলা যেতে পারে। এই সমন্বয়টি সমস্ত শিক্ষার্ধীদের উপকার করবে। এখন অবধি ভার্চুয়াল শিক্ষা একটি ঐচ্ছিক বিষয়। তবে ভবিষ্যতে এটিই মৌলিকে পরিণত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ