নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পর এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চিঠি হাতে পেলেন দেশের তারকা শ্যুটাররা। আর এতে ব্রিবত ও হতাশ হয়েছেন তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে অশান্ত হয়ে উঠেছে গুলশানস্থ শ্যুটিং রেঞ্জ। করোনাকালে এমনিতেই দেশের শ্যুটাররা অস্থিরতা মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জানা গেছে, এমন দুর্যোগের মধ্যেও গোয়েন্দা শুল্ক বিভাগ শ্যুটারদের চিঠি দিয়েছেন, কোন অস্ত্র কোন সময় কিভাবে কেনা হয়েছে তা জানতে। যার উত্তর আশা করার কথা বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে, সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের কাছে। বিষয়টি নিয়ে শুধু যে শ্যুটাররা বিব্রত তা কিন্তু নয়, স্বয়ং শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু নিজেও কিছুটা হতাশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দাপ্তরিক বিষয়ে চিঠি সাধারণত মহাসচিব হিসেবে আমরাই পাওয়ার কথা। কিন্তু এনবিআরের চিঠি-পত্র আদান প্রদান পুরোটাই সভাপতি নিজেই করছেন। আমি বিভিন্ন সময় শ্যুটারদের মারফত এসব বিষয়ে জেনেছি।’
এদিকে দুদক ও এনবিআরের পাঠানো চিঠিতে বিব্রত হয়ে ২০১০ ঢাকা সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের সোনাজয়ী শ্যুটার শারমিন আক্তার রতœা বলেন, ‘আমরা শ্যুটাররা বিদেশে গেলে অনুশীলনের জন্য রাইফেল নিয়ে আসি। কারণ আমাদের ক্যারিয়ার হচ্ছে পাঁচ থেকে সাত বছর। এই সময়ের মধ্যে ভালো কিছু করে দেখাতে চাই আমরা। যখন জার্মানী থেকে শ্যুটাররা রাইফেল নিয়ে এসেছে, সেই সময় অপু ভাইও একই ফ্লাইটে ঢাকায় এসেছিলেন। তাই এখন উনার সম্পর্কে নানান কথা বলা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘একজন শ্যুটার ক্যারিয়ার শুরু করলে একটি ভালোমানের আর্মসের জন্য হাপিত্যেস করেন। ফেডারেশনের স্টকে আর্মস থাকে না। তাই বিদেশ থেকে আনাতে হয়। আমার জানা মতে, ২০০০ সালে সাবরিনা সুলতানা আপু ও পাখি ভাই জার্মানীতে গিয়েছিলেন ট্রেনিংয়ে। তারা দু’টি রাইফেল নিয়ে এসেছিলেন। তারাই দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে রাইফেল আনতে হয়। তারপর সরকার পাখি মারার আর্মস ব্যান্ড করার পর এখন তা আর আনা যায় না। এখন রুলস ও রেগুলেশন হয়েছে।’
সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে রতœা বলেন, ‘ফেডারেশন যে তদন্ত করেছে, সেখানে জুই বলেছে যে, সে ফেডারেশন থেকে রাইফেল নিয়েছে। আসলে জুই মিথ্যাচার করেছে। সে দিশাকে রাইফেল কিনে আনতে বলেছিল। দিশা দেশে ফিরে রাতের বেলা ফেডারেশনে রাইফেল রেখেছিল। আর অফিস থেকেই তা নিয়েছিল জুই। এখন সভাপতি স্যার বলছেন, রাইফেল শ্যুটাররা আনেনি। একজন কর্মকর্তা নিয়ে আসছেন। যা পুরোপুরি মিথ্যাচার। এর আগেও শোভনকে একটি রাইফেল উপহার দিয়েছিল রাইফেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালথার। ক্লাউস কোচ ওকে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ওর রাইফেল দেখে সবাই খুশি হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে ওয়ালথারের কাছে গিয়ে বললে আরও সাতটি রাইফেল তারা আমাদের শ্যুটারদের উপহার দেয়। এটা এমন না যে অপু ভাই এনে বিক্রি করেছেন।’
দুদকের চিঠি নিয়ে এই তারকা শ্যুটার বলেন, ‘একবার দুদক থেকে বাকি, শারমিন ও আমার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিল। এই কাজটি করেছিলেন ফয়েজ ভাই। এবং সেটাই ফেডারেশন সভাপতি নাজিম চাচার (নাজিম উদ্দিন চৌধুরী) কথা অনুযায়ী। তারপরও দু’বছর ফয়েজ ভাই ফেডারেশনে নিষিদ্ধ ছিলেন। শ্যুটারদের জেল খাটাতে চেয়েছিলেন। সে যাত্রায় আমাদের কিছুই হয়নি। আজ আবার দুদকে যেতে হচ্ছে। যা খুবই খারাপ। আমরা খেলে সম্মান নিয়ে আসছি। অথচ আজ বলতে হবে কি যে আমরা এই অস্ত্র দিয়ে মারি। এটা কি ক্রাইম? আমরা কি চোর- ছেচর? এনবিআরের কাছে উড়ো চিঠিতে অভিযোগ করেছে। অথচ উড়ো চিঠিতে কিভাবে তদন্ত হয় জানি না।’
অন্যদিকে গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে সোনাজয়ী শ্যুটার শাকিল আহমেদ হতাশ কন্ঠে বলেন, ‘কি হচ্ছে শ্যুটিংয়ে, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছে কেন দুদক ও এনবিআর চিঠি দেবে। আমরা কি কোন কিছু চুরি করেছি, না অর্থ আত্মসাত করেছি। এই ঝামেলা আর ভাল লাগে না। এ থেকে পরিত্রান চাই আমরা।’ কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্যজয়ী শ্যুটার আবদুল্লাহেল বাকি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘আমাদের মানসিকতার পার্থক্য কোথায়? অতীত এবং বর্তমান একই সূত্রে গাঁথা। যাহা ইচ্ছা তাহাই বানিয়ে ফেলো..হিংসা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।