নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশের নারী শ্যুটার আরদিনা ফেরদৌস আঁখি। এর আগে গেমসের কোন আসরেই শ্যুটিং ডিসিপ্লিনে নারীদের পিস্তল ইভেন্টের একক থেকে পদক জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এ নিয়ে লাল-সবুজদের হতাশা দীর্ঘদিনের। কাঠমান্ডুতে যেখানে শারমিন আক্তার রতœার মতো দেশসেরা শ্যুটার ব্যর্থ, সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে এই ইভেন্টে রৌপ্যপদক জিতে প্রথম বাংলাদেশী নারী শ্যুটার হিসেবে অনন্য কীর্তি গড়লেন আঁখি। শুক্রবার সাতদোবাতো ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সের শ্যুটিং রেঞ্জে নারীদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ২৩৪.৬ স্কোর গড়ে রৌপ্য নিশ্চিত করেন আঁখি। এই ইভেন্টের সোনা জিতে নিয়েছেন ভারতের শ্রী পারমানাথামের গলে। তিনি ২৩৮.৪ স্কোর গড়ে সেরা হন। আর ব্রোঞ্জ গেছে পাকিস্তানের ঘরে। পাকিস্তানের প্রতিযোগি ইবতিসাম আন্না ২১৪.৯ স্কোর গড়ে তৃতীয় হন।
প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই ইভেন্টে রৌপ্য জিতে আঁখি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটাই আমার প্রথম পদক। আমি অনেক খুশি। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ভারতের অনেক প্রতিযোগি ছিল এ ইভেন্টে। তাদের পেছনে ফেলে রুপা জিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এটা আমার অনেক বড় অর্জন। আমি আজকে স্কোরের দিকে তাকাইনি। আল্লাহ যা রাখছেন ভাগ্যে তাই হবে, আমি কাজ করে যাব। এই ভাবনা থেকেই শ্যুট নিয়েছি এবং আমি সফল হয়েছি।’
ভারতের কাছে হারলেও হতাশ নন আঁখি। তার কথায়, ‘ভারত সব সময়ই বেশি সুবিধা পায়। তারা অনেক অভিজ্ঞ এবং সারা বছর ট্রেনিংয়ে থাকে। অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে বলে তাদের ম্যাচ টেম্পারমেন্ট আলাদা। সেই হিসেবে আমি বলব আমি ওদের সঙ্গে ভাল ফাইট করেছি। আমি বলব আমার ম্যাচ টেম্পারমেন্ট তাদের চেয়ে অনেক কম। যে মেডেলটা পেয়েছি, তাতে আমি অবশ্যই খুশি।’ এরআগে দু’টি কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিলেও ফাইনাল খেলতে পারেননি আঁখি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দুটি কমনওয়েলথ গেমসে খেলেছিলাম গ্লাসগো এবং গোল্ডকোস্টে। কিন্তু টাই করার কারণে দুটোতেই ফাইনালে খেলতে পারিনি। ওখানেও ভাগ্য আমার সহায় ছিল না। ভবিষ্যতে আরও ভাল করার আতœবিশ্বাস পেলাম নেপাল থেকে।’
এদিকে, মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই ইভেন্টেও সেরা হয়েছে ভারত। আর রৌপ্য জিতেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে আনজিলা, আরদিনা ফেরদৌস ও নিলুফা ইয়াসমিন ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। আঁখির রুপা জয়ে চলতি এসএ গেমস শ্যুটিং থেকে এই নিয়ে চতুর্থ রৌপ্যপদক পেল বাংলাদেশ। এর আগে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত, ছেলেদের ৫০ মিটার এয়ার রাইফেল থ্রি পজিশন (দলগত) ও মেয়েদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে দলগত থেকে রুপা এসেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।