গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনার সংক্রমণ রোধে ২১ দিনের জন্য রাজধানীর ওয়ারীতে লকডাউন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। এতে করে ওই এলাকার মানুষের অবাধ যাতয়াত ও বিচরণ বন্ধ থাকবে।
ওয়ারীর আউটার রোড-টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) এবং ইনার রোডগুলোর মধ্যে-লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট লকডাউনের আওতায় থাকবে।
সকালে ওয়ারীর চারদিকে ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার প্রত্যেকটি অলিগলি প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রবেশের জন্য খোলা রাখা হয়েছে এলাকাটির র্যাংকিং স্ট্রিটের টিপু সুলতান রোড এবং হট কেক গলি। লকডাউনের প্রথম সকালে এলাকাবাসীকে বাঁশের বেড়া টপকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। সকাল ৯টার পর পাল্টে যায় সেই দৃশ্য। মানুষ বিচ্ছন্নভাবে বের হওয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করতে কাউন্সিলরের নির্দেশে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি শিফটে ৫০ জন কাজ করছেন। জোনের ভেতরে বেশ কয়েকটি সুপার শপ থাকায় সিটি করপোরেশনের নির্দেশে সেগুলো খোলা রয়েছে।
ওয়ারী থানার সাব-ইন্সপেক্টর জহির হোসেন বলেন, সকাল ৬টা থেকে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। মানুষ বের হওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ তা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকায় অবস্থানরত ডাক্তার, নার্স, সংবাদকর্মী এবং যাদের একান্তই জরুরি প্রয়োজন তারা বাইরে যেতে পারবেন বিশেষ বিবেচনায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।