পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কোন সন্ত্রাসী তৎপরতা সয্যকরা হবেনা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপত্তায় বর্তমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যে জনবল তা অপ্রতুল। তাই আগামীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জনবল বাড়ানো হবে।
পুলিশ মহা পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিজিবি ও র্যাব প্রধানের সঙ্গে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, আমরা একসাথে এসে এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে গেলাম। ঢাকায় গিয়ে একটি পরিকল্পনা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃংখলা রক্ষায় কিভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম ও র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমদ। তাদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।
উল্লেখ্য সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসীরা মাথা ছাড়া দেয়ার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সাথে স্থানীয়দের ঝগড়াঝাটি খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা বের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাসহ এলাকাবাসীকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকায় সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন বলে জানাগেছে।
বাহিনী প্রধানগণ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রথমে উখিয়ার মধুর ছড়া ৩ নং ক্যাম্পে যান। এখানকার পুলিশ ক্যাম্প তারা পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে ১৭ নং ক্যাম্পে গিয়ে ৩ বাহিনীর সদস্য, ক্যাম্প ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামশুদ্দোজা নয়ন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন উপস্থিত ছিলেন। শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন পুলিশ প্রধান।
রাতে তারা ফিরে আসেন কক্সবাজারে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবগুলো বিষয় সরেজমিন দেখা ও অবহিত হতেই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার তিন বাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করলেন। বুধবার সকালে তারা ঢাকায় ফিরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।