Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুনঃনিরীক্ষণে ৬হাজার ২৬৪ জনের ফল পরিবর্তন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২০, ৭:০১ পিএম

এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে সন্তুষ্ট হতে না পেরে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছিল

২ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ২৬৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস ও জিপিএ-৫ পেয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। আগের ফলাফলে জিপিএ-৫ না পেলেও পুনঃনিরীক্ষণে ৭৯৩জন শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফল পরিবর্তন হয়েছে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে। মঙ্গলবার এই ফল প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।

জানা যায়, এবার পুনঃনিরীক্ষার জন্য ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১জন পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯১৯টি খাতা চ্যালেঞ্জ করে। এদের মধ্যে শুধু এসএসসি পরীক্ষায় ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৮টি, দাখিলের ২৮ হাজার ৪৮৪টি এবং এসএসসি ভোকেশনালের ১৭ হাজার ৫৩৭ টি খাতা।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পুনঃনিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস করেছে ১০৫ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৯ পরীক্ষার্থী। এ বোর্ডে মোট দুই হাজার ২৪৩ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৩৬৭ জনের, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন। ফেল থেকে পাস ৩৫ জন। ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ১৬৫ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ২৩ শিক্ষার্থী ও নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ পরীক্ষার্থী। ময়মনসিংহ বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৪৭ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন। উত্তীর্ণ দুই পরীক্ষার্থী আবেদন করে পুনঃপরীক্ষণে ফেল করেছে। মোট ৩৬৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। রাজশাহী বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৩৪ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪০ জন। পুনঃনিরীক্ষণের ফেল করা তিন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বোর্ডের ২৫২ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৪১ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন। ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। আবেদন করে ৬০৯ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। বরিশাল বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ২৫ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। মোট ১৩৯ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। যশোর বোর্ডে ফল পরিবর্তন ১২৩ জন, ফেল থেকে পাস ৪৪ জন এবং নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫ জন। কুমিল্লা বোর্ডে ফল পরিবর্তন ৪৪১ জনের, নতুন জিপিএ-৫ ৬১ জন, ফেল থেকে পাস ৬২ জনের। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এক হাজার ১৭১ জনের ফল পরিবর্তন, এর মধ্যে এক হাজার ১২৪ জন ফেল থেকে পাস, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ পরীক্ষার্থী। মাদরাসা বোর্ডে ফল পরিবর্তন ২৪৩ জনের, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন, ফেল থেকে পাস করেছে ১০৫ জন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর মু. জিয়াউল হক বলেন, খাতা পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সবকটি উত্তরে নম্বর দেয়া, প্রাপ্ত নম্বর গণনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উত্তোলনে ভুল, এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কি-না এসব বিষয় পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পুনঃনিরীক্ষণে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের ফল তুলনামূলক বেশি পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষা উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী শিক্ষকরা কি কারণে এ ধরনের ভুল করেছেন তার কারণ জানতে চাওয়া হবে। যেসব শিক্ষকের ভুল ধরা পড়ছে তাদের আগামী দুই বছর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন থেকে বিরত রাখা হবে। কেউ ইচ্ছা করে দায়িত্ব অবহেলা করেছে প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এসএসসি

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩০ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ