পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত দুই বছরের মত চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষাও নির্ধারিত সময়ের পরে এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার এই পরীক্ষায় কমেছে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ও পাসের হার। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। মাধ্যমিক স্তরের সমাপনী পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গতবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। যা আগের বছর ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। যা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১৫ শতাংশের বেশি।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও পাসের হারের পাশাপাশি এবার কমেছে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান এবং বেড়েছে শূণ্য পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। কয়েক বছর ধরেই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে ভালো করছে ছাত্রীরা। গতবারের মতো এ বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায়ও পাসের হার ও ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে ছাত্রদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে ছাত্রীরা। একইভাবে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের চেয়ে ভালো ফল করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর পর বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার ৯টি সাধারণ বোর্ডে, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। পৃথকভাবে ৯টি বোর্ডের পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গতবছর মোট শিক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন, পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর নয়টি সাধারণ বোর্ডে ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে ৯৩ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এবার পরীক্ষার সর্বোচ্চ সাফল্য জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। যা গতবছরের তুলনায় জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৬২জন। পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা এই দুই দিক দিয়েই ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে মেয়েরা। ছাত্রদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ আর মেয়েদের ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ১৫৬ জন ছাত্র ও ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন ছাত্রী। ছাত্রদের চেয়েছে ২৭ হাজার ২৯০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বিগত বছরের তুলনায় এবার কমেছে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, অন্যদিকে বেড়েছে শূণ্য পাস (একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি এমন) প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। এবার মোট ২৯ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২ হাজার ৯৭৫টি, যা গতবছর ছিল ৫ হাজার ৪৯৪টি। আর একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান এবার ৫০টি। যা আগের বছর ছিল ১৮টি।
৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের মধ্যে ফলাফলে সবার শীর্ষে যশোর শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর সবার নিচে সিলেট বোর্ড।এই বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রায় আড়াই বছর সময় পেয়েছে। ভালো প্রস্তুতির কারণে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, এটিও ভালো ফলাফলের একটি বড় কারণ।
তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিযোগিতা থাকে। সব শিক্ষাবোর্ডই চায় এগিয়ে যেতে। সেক্ষেত্রে কোনো কোনো বোর্ড এগিয়ে যায় আবার কোনো কোনো বোর্ড পিছিয়ে যায়।
অন্যদিকে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল করার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবারের চেয়ে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে তার মূল কারণ হচ্ছে আগে কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ে এসএসসির ফলাফল দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম ছিল। এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কেন পাস করতে পারেনি সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো। আমরা শুধু শাস্তি নয়, সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। সেই কারণে সমস্যা সমাধানের চেষ্টাই আমাদের মূললক্ষ্য। তবে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যদি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান থাকে সেটাও আমরা দেখবো।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ড: ঘোষিত ফলে দেখা যায় ৯টি সাধারণ বোর্ডে এবার ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭১ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ। গতবছর এসব বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। সাধারণ বোর্ডগুলোতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন শিক্ষার্থী। আগের বছরের তুলনায় বেশি ৬৯ হাজার ৯২৩ জন।
এবার শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড এবং সবার নিচে সিলেট বোর্ড। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ও সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এরপর ক্রমান্বয়ে ঢাকা বোর্ডে ৯০ দশমিক ০৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৯ দশমিক ০২ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
মাদরাসা বোর্ড : মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ১৩২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। যা আগের বছর ছিল পাসের হার ৯৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এবার পাসের হার কমেছে ১১ শতাংশ। এই বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ জন। গতবছর ছিল ১৪ হাজার ৩১৩ জন।
কারিগরি বোর্ড: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এবছর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গতবছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৫ জন। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ১৮৭।
বিজ্ঞান বিভাগের ফল ভালো : পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের হিসাবে বরাবরের মতই এগিয়ে আছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতবছরের তুলনায় এবার আরো ভালো ফল করেছে ৯ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিজ্ঞানের পরীক্ষার্থীরা। তবে পিছিয়ে গেছে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীরা। এবার বিজ্ঞান বিভাগে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল ৯৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। অন্যদিকে মানবিকে এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, আগের বছর এটি ছিল ৯৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর ব্যবসায় শিক্ষা এবার পাসের হার ৯১ দশমিক ০৫ শতাংশ, গতবছর ছিল ৯৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ফল পুনঃনিরীক্ষা: চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবে। এবার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আজ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে।
যেভাবে আবেদন করতে হবে: টেলিটক প্রি-পেইড নম্বর থেকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে আরএসসি এরপর বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল নম্বর বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয় কোডগুলো আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন, বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য আপনার টেলিটক প্রি-পেইড নম্বরের অপশনে গিয়ে আরএসসি বোর্ডের নাম স্পেস রোল নম্বর ১০১, ১০২, ১০৭, ১০৮ লিখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে ফি প্রযোজ্য হবে। তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়/বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা- এ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে জিলা স্কুল প্রথম স্থান দখল করেছে। জেলায় মোট ৩০ হাজার ৯২২ জন কৃতকার্য শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৫৯০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। যা ৩১ দশমিক ১ শতাংশ। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। বগুড়ায় থেকে ৩৫ হাজার ৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। পাস করেছেন ৩০ হাজার ৯২২ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শতভাগ পাস সহ পরীক্ষার্থী অনুপাতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ২য় স্থানে রয়েছে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এবার এই প্রতিষ্ঠানে ২৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ অর্থ্যাৎ ২৫২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৩য় স্থানে রয়েছে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। ৩৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩৩ জন জিপিএ-৫ পান। পরের স্থানে রয়েছে বগুড়া আরডিএ ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। শতভাগ পাসসহ পরীক্ষার্থী অনুপাতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো হলো, বগুড়া আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এন্ড কলেজে ৩৫৭ জনের মধ্যে ৩৩৮ জন, বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজ ২৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৭ জন। শহরের অপর দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ এবং এসওএস হারম্যান মেইনর স্কুল ও কলেজ এবার শতভাগ পাসের রেকর্ড ছুঁতে পারেনি। এসওএস থেকে এবার ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ জন। বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২২ জন।
স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে জানান, এসএসসি পরীক্ষায় এবার রাঙামাটিতে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়লেও জেলার পাসের হার কমেছে। জেলার পাসের হার ৭৭.৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮৪ জন। জেলার শতভাগ পাশ করেছে কাপ্তাই নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় জানায়, এবার রাঙামাটি জেলার ১০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় অংশ করেছে ৯০৬৬ জন শিক্ষার্থী। এতে পাশের হার ৭৭,৮৫ শতাংশ। জেলার এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৮৪ জন। জেলার সর্বোচ্চ ৬৮ জন জিপিএ ৫ এ পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে কাপ্তাই নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। তবে এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়লেও পাসের হার কমেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, এ বছর জেলার সার্বিক পাসের হার প্রায় ৯০ শতাংশ। জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানাযায়, এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জেলা থেকে ৩৩ হাজর ৬৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩০ হাজার ৩৬০ জন পাশ ও ৩ হাজার ৩১৭ জন অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২০৬ জন। জানাযায়, এ বছর জেলা থেকে এসএসসিতে ২৮ হাজার ৩০ জন অংশগ্রহণ করে পাস করে ২৫ হাজার ৭১২ জন এবং (জিপিএ-৫) পায় ২ হাজার ৩১৮ জন। পাসের হার ৯১.৭৩%, দাখিল পর্যায়ে ৪ হাজার ১৮০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৩ হাজার ৩১৯ জন যাতে (জিপিএ-৫ পায়) ৮৬১ জন। পাসের হার ৭৯.৪০% এবং ভোকেশনাল পর্যায়ে ১ হাজার ৪৬৭ জন অংশ নিয়ে পাস করে ১ হাজার ৩২৯ জন এবং (জিপিএ-৫) পায় ১৩৮ জন। পাসের হার ৯০.৫৯%। এদিকে জেলায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে শীর্ষে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বছর এই স্কুল থেকে ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ ২৩৬ জিপিএ ৫ পেয়েছে। পাসের হারও শতভাগ।
ব্রাহ্মণপাড়ায় (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণপাড়ায় ২৮টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০৯৩ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে পাস করে ২৭৭৩ জন, পাশের হার ৮৯.৬৫ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬২ জন। এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং আব্দুর রাজ্জাক খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাস করেছে। ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালায় সর্বাধিক ৪৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ২১টি মাদরাসায় মোট ৯৮১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯৭০ জন পাস করেছে, পাশের হার ৯৮.৮৮ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৪ জন। এছাড়া ১৩ টি মাদরাসা শত ভাগ পাস করেছে সর্বোচ্চ জিপিএ পেয়েছে মহলক্ষীপাড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার ১৪ জন।
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ফুলপুরে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৫ জন শিক্ষার্থী। এর মাঝে ফুলপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৮জন, ফুলপুর উপজেলায় এবার ২৮ টি স্কুল থেকে এসএসসি পরিক্ষায় মোট ২১৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ১৭৪৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৮০.১৪%। ফুলপুর উপজেলায় দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাসের হার ৬৯.৮২%।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।