গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ থেকে বিরত রাখা যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আর কত ভয় দেখাবেন? আর কত বিরোধী দল, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে হুমকি দেখাবেন চাকুরির জন্য? আর কতদিন? আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, জনগণ রুখে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের কর্তব্য কর্ম থেকে বিচ্যুত হবো না।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংসদে উত্থাপিত বিলের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বিদ্যুত-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা যাবে না’ শীর্ষক ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যের আগ মুহুর্তে পুলিশের কর্মকর্তারা এসে অনুমতি ছাড়া মানববন্ধন কেনো করা হচ্ছে জানতে চায় এবং বাধার সৃষ্টি করে। কয়েক মিনিটের বক্তব্যে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণ দিতে গেছি, ত্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের ছায়া যখন নেমেছে এরউপরেও চলছে এই পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, কথা বলা যাবে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ করা যাবে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এমন কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা জানি আমাদের বিরুদ্ধে আঘাত এসেছে, বছরের বছরের পর কারাগারে থেকেছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের কন্ঠকে রুদ্ধ করা যায়নি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলে দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংসদ বিল পাস হওয়ায় প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘‘ ভৌতিক বিল আসছে। অসহায় মধ্যবিত্ত মানুষ হাহাকার করছে। বলা হচ্ছে চাহিদার চাইতে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উতপাদন করা হয়েছে। তাহলে এই যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উতপাদন করা হয়েছে এর বেশিরভাগ রেন্টাল-কুইক রেন্টালের। অর্থ্যাৎ এসব কেন্দ্রের ভাড়া দিতে হচ্ছে সরকারকে এবং বেশি দামে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে সরকারকে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই টাকা কে দিচ্ছে? এই টাকা জনগনের পকেট থেকে নিয়ে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তাহলে কিসের উন্নয়ন? শুধু জনগনের ওপর যাতাকল। জনগনকে পিষ্ট করা হবে আর মানিকগঞ্জে খাবার না পেয়ে বাচ্চা বিক্রি করছে মা। এই হচ্ছে পরিস্থিতি, এটা চলতে পারে না।।
উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এজিএম শামসুল হকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নতুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম নকি ও দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।