Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনে সেনাদের দেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সবার আগে মানব দেহে প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৫ জুন এ ভ্যাকসিন সেনাদের দেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে চীন। দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঝে এক বছরের জন্য এটি প্রয়োগ করা হবে। যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে চীনের সেনাবাহিনীর গবেষণা ইউনিট ও ক্যানসিনো বায়োলজিকস। ভ্যাকসিনটি উহান শহরে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়।
গতকাল এক বিবৃতিতে ক্যানসিনো বায়োলজিকস জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য চীনের তৈরি আটটি ভ্যাকসিন দেশে-বিদেশে মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন পায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন নিজেদের দেশে ও বাইরে ওই ভ্যাকসিনগুলোর পরীক্ষা চালায়। এদের মধ্যে অ্যাড৫-এনকোভ নামের ভ্যাকসিন নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। একই ভ্যাকসিন এরই মধ্যে কানাডাতেও মানবদেহে পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে। এখন ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অনুমতি পেল চীনা সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর মধ্যে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক, না কি ঐচ্ছিক রাখা হচ্ছে সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে অ্যাড৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহারের আগে আরো কিছু অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ক্যানসিনো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বলেছে, কোভিড-১৯-এর ১৭টি ভ্যাকসিন ক্লিনিকালি মূল্যায়নে রয়েছে। আর ১৩১টি ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ক্যানসিনো বায়োলজিকসের চেয়ারম্যান ইউ জিউফেং বলেন, ভ্যাকসিনটির প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে রোগীদের মধ্যে উচ্চমাত্রার প্রতিরোধের ক্ষমতা দেখা যায়। তবে এটি বিস্তৃতভাবে বাজারে আনার এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি।
ভ্যাকসিন গবেষণায় অক্সফোর্ড এগিয়ে
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণারত সকল প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এগিয়ে রয়েছে বলে জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি শুরু করতে পারে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ২০২১ সালের শুরুতে বাংলাদেশ পাবে এই ভ্যাকসিন। বর্তমানে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্বেচ্ছাসেবীদের উপর ব্যাপকহারে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বল্প-মধ্য আয়ের দেশ। এ কারণে ভ্যাকসিন ও জেনেরিক ড্রাগের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়। সূত্র : এএফপি ও রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ