বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) মাওলানা সরোয়ার হোসাইন বাদল এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের আট মাস পর এখন অস্বীকার করছেন। প্রতারনার শিকার ওই নারী এখন বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
উপজেলার দক্ষিন কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হারেজ মুধার মেয়ে আয়শা আক্তার (২৭) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এক লিখিত অভিযোগে জানান, গোলবুনিয়া গ্রামের মোঃ ফজলুল হক মোল্লার ছেলে মোঃ সরোয়ার হোসাইন বাদলের সাথে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে হয়। বাদল নিজেই কাজী হিসেবে বিয়ের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সেই থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থাকতে শুরু করেন। রাজনৈতিক সমস্যার কথা বলে বিয়ের বিষয়টা কিছুদিন গোপন রাখতে বলেন তিনি। এভাবে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের দাম্পত্ব জীবন আট মাস পার হয়।
পরে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী তার কাছে কাবিন দেখতে চায়। কিন্তু বাদল দেন মোহর পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে মাত্র দশ হাজার টাকার একটি কাবিন তৈরী করে দেখান এবং তা পরিশোধ করা হয়েছে বলে তাতে উল্লেখ করা হয়। এসময় তাকে পাঁচ লাখ টাকার কাবিনের মুল কপি অফিসে সংরক্ষিত আছে বলে জানায়। এ ঘটনায় তিনি বাদলের প্রতারনার বিষয়টি বুঝতে পেরে আসল কাবিন দেখতে চান।
কিছুদিন পর বাদল ফোন করে তাকে তালাক দিয়েছে বলে জানায়। এ ঘটনায় আয়শা আক্তার মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমার সাথে বাদল প্রতারনা করেছে। আমি সবকিছু হারিয়ে এখন স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় থাকবে না।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জামায়াত নেতা কাজী সরোয়ার হোসাইন বাদল বলেন, এক সময় সে আমার স্ত্রী ছিল। কিন্তু আমার সাথে খারাপ আচারন করায় তাকে তালাক দিয়েছি। স্ত্রী খারাপ আচারন করলে স্বামী তালাক দিতে পারে। সে বিধান ইসলামী শরীয়তে আছে ।
উপজেলা জামাতের সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, কারো অপকর্মের দ্বায় সংগঠনের নয়। বাদল বির্তকিত কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা-মোঃ রেজাউল করিম জানান, এটা সংগঠনের কোন বিষয় না এটা আইনের মাধ্যমে ফয়সালা হবে।
শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ওই জামাত নেতার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এখানে আমার কিছু করার নেই। অভিযোগ করা নারীকে আদালতের যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।