Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কথা রাখতে পারেননি গাঙ্গুলি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচিত হয়েই ক্রিকেটারদের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। সাবেক অধিনায়ক বলেছিলেন, স্থানীয় ক্রিকেটের বেতন কাঠামো উন্নত করা হবে। সবার আয় বাড়বে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন গাঙ্গুলীর দেওয়া আশ্বাসকে মিথ্যা বানিয়ে দিচ্ছে। বাড়তি আয় দূরের কথা, নিজেদের প্রাপ্য অর্থই পাননি ক্রিকেটাররা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে রঞ্জি ট্রফি ও মুশতাক ট্রফি খেলার পর প্রাপ্যটা এখনো বুঝে পাননি অনেক ক্রিকেটার। পত্রিকাটি অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছে মার্চ মাসে শেষ হওয়া প্রতিযোগিতার অর্থ না পেয়ে লকডাউনে বিপদে পড়েছেন অনেক ক্রিকেটার। রঞ্জি ট্রফিতে দিন প্রতি ৩৫ হাজার রুপি পান একজন ক্রিকেটার। আর মুশতাক আলী ট্রফিতে ম্যাচ প্রতি সাড়ে ১৭ হাজার রুপি। রঞ্জি ট্রফির পুরো মৌসুম খেললে প্রায় ১৩ লাখ রুপির মতো আয় করার কথা ক্রিকেটারদের। কিন্তু এবার অনেক ক্রিকেটারই সেটা বুঝে পাননি।

সূত্র জানিয়েছে, মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, বাংলা ও ত্রিপুরা এবং আরও অনেক দলই এখনো ম্যাচ ফি বুঝে পাননি। মহারষ্ট্রের ক্ষেত্রে বিষয়টা তো আরও জটিল। কোনো কারণ ছাড়াই নাকি এই রাজ্যকে অর্থ দিচ্ছে না বিসিসিআই! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ‘২০১৯/২০ মৌসুমের ম্যাচ ফি এখনো পাইনি। গত তিন মৌসুমের লাভের অংশও পায়নি।’ অন্য ক্রিকেটাররাও এটার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বোর্ড থেকে ম্যাচ ফি ছাড়াও বিসিসিআইয়ের লভ্যাংশের ভাগ পাওয়ার কথা ক্রিকেটারদের। কিন্তু ২০১৬/১৭ মৌসুম থেকে এটা পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। লকডাউনে আর্থিক দুরবস্থার কথা জানিয়ে এক ক্রিকেটার বলেন, ‘এ অর্থ লকডাউনে অনেক কাজে লাগত। বিসিসিআই ও রাজ্য সংস্থাগুলোর বোঝা উচিত আমরা এ বছর বাইরে খেলে আয় করার সুযোগ হারিয়েছি। আইপিএল হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর অনেক ক্রিকেটারই এখানে সুযোগ পায় না। ফলে বেশিরভাগকেই ঘরোয়া ম্যাচ ফির ওপর নির্ভর করতে হয়।’

বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুন ধামাল অবশ্য বিষয়টি বলছেন কারিগরি ত্রু টি, ‘এটা হয়তো কোনো কারিগরি সমস্যার কারণে হয়েছে, আমরা হয়তো কিছু রাজ্য সংস্থা থেকে ইনভয়েস পাইনি। এর মাঝে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়া সৌরাষ্ট্র ও রানার্সআপ বাংলাকে প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়ার পুরস্কারের অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রঞ্জির ফাইনাল মার্চে হয়েছে আর ওটাই ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটের শেষ খেলা। হয়তো ইনভয়েসের সত্যতা যাচাইয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে, না হলে আমরা সব ক্রিকেটারের টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট-বোর্ড
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ