মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অধিকৃত কাশ্মীরবাসীর অধিকার পুনর্বহাল করার জন্য নয়া দিল্লির প্রতি আহবান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) ও আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) বাস্তবায়ন নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এসব ব্যবস্থা দেশটির দীর্ঘ সেক্যুলার ঐতিহ্যের সঙ্গে অসঙ্গতিপ‚র্ণ এবং বহু-জাতিক ও বহু-ধর্মীয় গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সম্প্রতি নির্বাচনী ওয়েবসাইটে আমেরিকান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য জো বাইডেনের এজেন্ডাগুলো তুলে ধরা হয়। আমেরিকান মুসলিমদের ব্যাপারে পলিসি পেপারে বলা হয়, কাশ্মীরের সব অধিবাসীর অধিকার পুনর্বহালের জন্য ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিন্নমত প্রকাশে বাধা, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধাদান বা ইন্টারনেটের গতি কমানো গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এতে আরো বলা হয় যে, আসামের এনআরসি বাস্তবায়ন ও সিএএ পাসের পর ভারত সরকারের নেয়া ব্যবস্থাগুলোর ব্যাপারে জো বাইডেন হতাশ। দুনিয়া নিউজ, এসএএম এ খবর জানায়। অপরদিকে, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি গ্রুপ ভারতের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে, যাতে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের মধ্যে যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে অবিলম্বে ছেড়ে দেয়া হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের অফিস থেকে শুক্রবার দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এই গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষার্থী, এবং তাদেরকে গ্রেফতার করার একমাত্র কারণ হলো সিএএ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অধিকারের চর্চা করেছে তারা”। এতে বলা হয়েছে, “তাদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ভারতের নাগরিক সমাজের প্রতি একটা পরিস্কার বার্তা দেয়া হয়েছে যে, সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে কোনভাবেই সহ্য করা হবে না”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার গত বছর সিএএ গ্রহণ করে। এই আইনের অধীনে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা ছয়টি ধর্মের অভিবাসীদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই তালিকার মধ্যে মুসলিমদেরকে রাখা হয়নি। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণের এই আইন সারা ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভের সৃষ্টি করে। এর মধ্যে কিছু বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন মুসলিম নারীরা।এই সব বিক্ষোভে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ষাঁড়াশি অভিযান চালায়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, পুলিশ ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যার্থ হয়েছে, যদিও তারা সহিসংতার জন্য ঘৃণা উসকে দিয়েছিল। সিএএ’র পক্ষের এক সমাবেশে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের গুলি করো’ বলে শ্লোগান দিয়েছিলেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দুনিয়া নিউজ,আল-জাজিরা,এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।