বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ জুন রাত ৮.১৫ মিনিটের সময় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছিল পটুয়াখালীর মহিপুর থানা পুলিশের এসআই সাইদূরের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টহল দল।
হঠাৎ তাদের চোখ পড়ে ৪ জন কিশোর-কিশোরীর উপর। তারা মোবাইল ও ট্যাব বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। এসআই সাইদুরের মনে সন্দেহ জাগে। সে তার সঙ্গীদের নিয়ে এগিয়ে যায় তাদের দিকে । পুলিশ দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরে পুলিশের কথায় ও ব্যবহারে তারা আস্থা ফিরে পায়।
তারা না খেয়ে আছে জানতে পেরে প্রথমে তাদের কিছু শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় শিশু সুমাইয়া (১৩) জানায়, সে ও তার প্রতিবেশী অপর শিশু তাসিব (১৩) ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করে।
গত ২২ জুন সকাল ১০ টায় সুমাইয়া তার নানির লকার থেকে টাকা নিয়ে তাসিবের সাথে বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে সদরঘাট আসে।
সেখান থেকে রাত ১১ টায় শরীয়তপুরগামী লঞ্চে ওঠে তারা । লঞ্চে তাদের সাথে ইয়াসিন (১৬) ও ইব্রাহিম (১৬) এর পরিচয় হয় ও সখ্যতা গড়ে ওঠে।
২৩ জুন ভোরে তারা নড়িয়া লঞ্চঘাটে নামে এবং সারাদিন নড়িয়া এলাকায় ঘুরে ফিরে কাঁটায়।
বিকেলে ৪ জন আবার নড়িয়া থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে ওঠে এবং রাত ০৮.০০ টায় সদরঘাটে পৌছায়।
তখন তারা বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং বরিশালের লঞ্চে ওঠে ২৪ জুন তারিখ সকালে বরিশাল পৌছে সেখান থেকে বাসে করে কুয়াকাটা আসে।
এবং কুয়াকাটায় এসে রাতে তারা একটি হোটেলে থাকে।
সকালে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে বের হয়ে টাকা শেষ হয়ে গেলে সারা দিন না খেয়ে কাটায়। উপায়ন্তর না পেয়ে তারা সঙ্গে থাকা মোবাইল ও ট্যাব বিক্রি করে ক্ষুধা নিবারণ ও যাতায়াতের টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ পর্যায়ে তারা পুলিশের সংস্পর্শে আসে।
এরপর পুলিশের টহল দলটি তাদের মহিপুর থানায় নিয়ে প্রাথমিক পরিষেবা দিয়ে খাবার সহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নেয় এবং শিশুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়।
অতঃপর ফোন করে অভিভাবকগণদের সাথে কথা বলানোর ব্যবস্থা করা হয় অভিভাবকগণদের মহিপুর থানায় আসতে বলা হয়।
ইতোমধ্যে মহিপুর থানা পুলিশ ডিএমপি'র কামরাঙ্গীরচর থানা এবং ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে প্রকৃত অভিভাবক সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
শুক্রবার শেষ বিকেল তাদের
ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দের সম্মুখে নিজ নিজ অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করে মহিপুর থানা পুলিশ ।
এ সময় থানা প্রাঙ্গণে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের ফিরে পেয়ে আনন্দে অশ্রুসজল চোখে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।