মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজস্থান সরকারের পরে মহারাষ্ট্র সরকারও ভারতের যোগগুরু রামদেবের প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলির করোনা নিরাময়ের ওষুধ ‘করোনিল’ নিষিদ্ধ করল। বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
সম্প্রতি পতঞ্জলির পক্ষে রামদেব করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য এই ওষুধের কথা জানিয়েছিলেন। যদিও পরে জানা যায়, এই ওষুধের লাইসেন্সের আবেদনে ‘কোভিড-১৯’-এর উল্লেখই করেনি রামদেব বালকৃষ্ণর সংস্থা পতঞ্জলি। এ বিষয়ে টুইট করে দেশমুখ জানিয়েছেন, করোনিলের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পর্কে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে এই ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স থেকে খোঁজ নেয়া হবে আদৌ করোনিলের ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়েছিল কিনা। পাশাপাশি রামদেবকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র সরকার কোনভাবেই মহারাষ্ট্রে জাল ওষুধ বিক্রির অনুমতি দেবে না।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির পরে রাজস্থান রামদেবের ওষুধ করোনিল বন্ধের কথা জানায়। রাজস্থান সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া করোনা চিকিৎসার জন্য কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। পাশাপাশি রাজস্থান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ওষুধ বলে যদি কোনও দোকান থেকে কোনও ওষুধ বিক্রি করা হয়, তবে বিক্রেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে রামদেবের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রণালয়। কোভিড ১৯ এর ওষুধ হিসেবে করোনিলের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ড্রাগ টেস্টিংয়ের কথা বলা হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের পরে উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ বিভাগও পতঞ্জলির দাবি অস্বীকার করেছে। তবে পতঞ্জলি দাবি করছে তারা এই ওষুধের সমস্ত তথ্য আয়ুশ মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছে।
গত ২৩ জুন এক সাংবাদিক বৈঠকে ‘করোনিল’ এবং ‘স্বসারি’ নামে করোনা নিরাময়ের দুটি ওষুধ বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন রামদেব। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের তৈরি এই ওষুধে ১০০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগী সাতদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে দাবি জানান তিনি। এর কয়েক ঘন্টা পরেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ওষুধের প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় আয়ুষ মন্ত্রণালয়। তাদের অভিযোগ, এই ওষুধের বিস্তারিত তথ্য তাদের কাছে নেই, এমনকি কী উপাদান দিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে, কোথায় কাদের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রকের কাছে কোনো তথ্য নেই। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।