পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি’র আওতায় বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রণোদনা দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০২০-২১ অর্থবছরের মধ্যে করোনা বা তার পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য আর্থিক সহায়তার উদ্দেশেই ইইউ এই প্রকল্প হাতে নিতে চায়। স¤প্রতি তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের আর্থিক সহায়তা দিতে তহবিল গঠনের বিষয়ে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে চিঠি দিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক। ইইউ’র এই প্রণোদনাকে ‘ইতিবাচক’ মনে করছেন অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তবে তিনি শ্রমিকদের কল্যাণ ও শর্তের বিষয় গুরুত্বসহ যাচাই করারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, উদ্যোগ ভাল কিন্তু কঠিন কোনো শর্ত মানা উচিত হবে না।
ইইউ’ চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রফতানিমুখী শিল্প বা করোনায় আক্রান্ত পোশাক শ্রমিকদের তহবিলকে সামাজিক সুরক্ষা সংস্কারের মতো বাজেট সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৯৩ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করা হয়েছে। জার্মান সরকার আগামী অর্থবছর থেকে এই ধরনের প্রকল্পের জন্য আরও ২০ মিলিয়ন ইউরো দেবে। এই প্রকল্প রফতানিমুখী পোশাক খাতের কর্মী ও তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ হিসেবে কাজ করবে। ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও বলেছেন, পোশাক শ্রমিকদের চাকরি ও আয় কমে যাওয়াসহ তারা উচ্চঝুঁকিতে আছেন। এই খাত দ্রুত পুনরুদ্ধার হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইইউ সামাজিক নিরাপত্তা সংস্কার কর্মসূচির আওতায় গার্মেন্টস শ্রমিকেদের জন্য করোনার মতো যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারীতে বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে একটি স্কিম তৈরি করতে চায়। ইইউ’র কাছ থেকে দেশের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির তহবিলের সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। গত ১১ জুন এই বিষয়ে সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
সূত্র জানায়, কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে এই প্রকল্প গ্রার্মেন্টস শ্রমিকদের আয়ের ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে। পোশাক শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হবে। পারফরম্যান্স সূচক, বিতরণ ও অনুমোদনের জন্য সময়সীমাসহ কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আর্থিক চুক্তি সংশোধন করা হতে পারে। এ বিষয়ে জানস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও শ্রমিক নেতা ফয়েজুল হাকিম বলেন, দাতাদের তহবিল থেকে শ্রমিকদের বেতন নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি করোনাকালে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবাও নিশ্চিত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।