Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন খুন : গ্রেফতার-৪

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১:৩২ পিএম

সিলেটের বিশ্বনাথে জমি-জমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’ব্যক্তি খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে উপজেলার মনোকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া দু’জনের মধ্যে একজন হচ্ছেন, মনোকুপা মসজিদের মোতাওয়াল্লী হাজি মখলিস আলী (৬০) এবং অপর জন হচ্ছেন, তাদেরই আপনজন ওয়ারিছ আলী (৫৫)। মখলিছ আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ওয়ারিস আলী সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পর তিনিও মারা যান। তাদের দু’জনের বাড়ি উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের মনোকুপা গ্রামের। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। পরে মখলিস আলীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পেরণ করেন।

স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে জমি-জমা নিয়ে মনোকুপা গ্রামের সমছু মিয়া গং ও নুর ইসলাম গংদের মধ্যে বিরুধ চলে আসছে। এ ব্যাপারে দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু বিরুধটি কোন ভাবেই নিস্পত্তি হয়নি। এক পর্যায়ে নিস্পত্তির জন্য অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের কাছে দুপক্ষের ২লাখ টাকা জামানত রাখা হয়েছিল এবং ২৩ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তৃতীয় স্থান হিসেবে উপজেলার নিজগাঁও গ্রামের লন্ডন প্রবাসি আব্দুল আজিজের বাড়িতে নিস্পত্তির জন্য বৈঠক ছিল। বৈঠকে বৃহত্তর সিলেটের গণ্যমান্য শালিস ব্যক্তি বর্গরা অপেক্ষায়ও করেছিলেন। কিন্তু নুর ইসলাম পক্ষের লোকজন বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে অন্য একটি গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে বিস্তস্থ সূত্রে জানা গেছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঐদিন মঙ্গলবার আছরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে হাজী মখলিছ মিয়াকে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ি নুর ইসলামের পক্ষ দ্যা, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে মখলিস মিয়া ঘটনাস্থালে মারা যান। পরে মখলিস মিয়ার পক্ষ পাল্টা হামলা চালায়। এতে নুর ইসলাম পক্ষের ওয়ারিছ আলী গুরুত্বর আহত হলে তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনিও মৃত্যু বরণ করেন। এদিকে জোড়া খুনের খবর পেয়ে সিলেটের ডিবি পুলিশ নিহত ওয়ারিছ আলী দুই ছেলে রুহেল ও সুহেল ও বটতলা গ্রামের মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে নিহত মখলিস আলীর ভাই ইউপি সদস্য ফজলু মিয়াকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া গ্রেফতারের পূর্বে এ প্রতিনিধিকে টেলিফোনে জানিয়েছিলেন, চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের ইন্ধনে তার ভাই মখলিস আলী খুন হন। কারন বৈঠকে জামানতের ২লাখ টাকা নিয়ে আসতে না পারায় চেয়ারম্যান নানা টালবাহানা করে অপর পক্ষকে ফুসলিয়ে দিয়ে এ হত্যাকান্ত ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির সত্যতা ও ইউপি সদস্য সহ ৩ জনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ওসি শামিম মুসা।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ