Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে পুরুষের তুলনায় নারীদেরই মৃত্যুর সংখ্যা বেশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২০, ৫:৫৮ পিএম

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। এই মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে এমনকিছু দেশ; ইতালি, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নানা পরিসংখ্যান সেদিকেই ইঙ্গিত করে। এসব দেশে আক্রান্ত হওয়ার পর পুরুষেরাই বেশি মারা গেছেন। তবে ভারতে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। যার রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় আওতায় গত ২০ মে নাগাদ ভারতে সংক্রমণ ও প্রাণহানির তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশটিতে আক্রান্ত হলে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা মারা যাচ্ছেন। অন্যদিকে পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে এই হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
আলোচিত তারিখ নাগাদ মোট এক লাখ ১০ হাজার সংক্রমণ এবং তিন হাজার ৪৩৩টি প্রাণহানি রেকর্ড করা হয় ভারতে। যা ওই গবেষণার আওতায় আসে। এসময় উভয় লিঙ্গের মানুষ মিলিয়ে সার্বিক মৃত্যুহার ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
লিঙ্গভেদে মৃত্যুর হার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের একদল বিজ্ঞানীর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ভারতে পুরুষেরা বেশি আক্রান্ত হলেও, সংক্রমিত নারীরা বেশি মারা যাচ্ছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, করোনায় ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের মৃত্যুই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি, ৩ দশমিক ২ শতাংশ। একই বয়স শ্রেণির সংক্রমিত পুরুষদের ক্ষেত্রে যা মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ। ৫ থেকে ১৯ বছরের বয়সীদের ক্ষেত্রে শুধু মেয়ে শিশুরাই মারা গেছে।
সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রটির লেখকদের মধ্যে অন্যতম হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় বংশদ্ভূত অধ্যাপক এসভি সুভ্রামানিয়ান জানান, পুরো বিশ্বে যেখানে মোট মৃত্যুর অধিকাংশই হচ্ছে পুরুষদের ক্ষেত্রে। ভারতেও ৬৩ শতাংশ পুরুষ মারা যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের মাঝে সংক্রমণের সংখ্যাও বেশি। তুলনামূলক কম সংক্রমিত হওয়ার পরেও নারীদের মৃত্যু বেশি হওয়ার অর্থ হচ্ছে, সংক্রমিত হলে ভারতে নারীদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থায় বিদ্যমান নানা দীর্ঘমেয়াদি বৈষম্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।
ওই গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক এস ভি সুব্রামানিয়ানকে এর কারণ কি জানতে চাইলে তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘মোটের ওপর আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে, যখন আক্রান্ত হন, তখন বাঁচার জন্য (ভারতে) নারীরা নির্দিষ্ট কোনো সুবিধা পান না।’
তিনি আর বলেন, ‘তাদের (নারীদের) ক্ষেত্রে এমন ঘটনার পেছনে বায়োলজিক্যাল গঠন কতটা দায়ী এবং এর নেপথ্যে সামাজিক কারণগুলো কতটা জড়িত তা অস্পষ্ট। তবে লৈঙ্গিক পার্থক্যের বিষয়টি এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে ভারতীয় প্রেক্ষাপটের জন্য।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ