Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যাত্রী সংকটে সব রুটেই কমানো হচ্ছে লঞ্চ চলাচল

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ১২:৪৮ পিএম

যাত্রী কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে লঞ্চের যাত্রী সংকটে লোকসানের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা। এতে আগের তুলনায় বিভিন্ন রুটে সারাদেশে প্রায় ৬০ শতাংশ লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, সীমিত আকারে গণপরিবহন চালানোর নির্দেশনার পর গত (৩১ মে) থেকে নৌযান চলাচল শুরু হয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও এসময় বেশিরভাগ লঞ্চের যাত্রী এবং লঞ্চমালিকরা কেউই মানেননি স্বাস্থ্যবিধি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লঞ্চ চালু হওয়ার প্রথম কয়েক দিন যাত্রীর চাপ ছিল। তবে বর্তমানে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা খুব কম এসেছে। এতে লঞ্চ চালিয়ে খরচ তোলায় কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে মালিকদের। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রুটে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, যাত্রী সংকটে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৬০% লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া তেলের দাম বৃদ্ধি, সরকারের বিভিন্ন টেক্স এবং যাত্রী কম সবমিলিয়ে লঞ্চ মালিকরা লোকসানের মুখে পড়ছেন'।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ মে থেকে প্রায় ২১ দিন লঞ্চে চালিয়ে আসছি। লঞ্চের ভাড়া সমন্বয় করার কথা ছিল সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এমন অবস্থায় যাত্রী কম নিয়ে লঞ্চ চালিয়ে লোকসান হচ্ছে। আমরা স্টাফদের বেতন দিতে পারছি না। এমন অবস্থায় কতদিন লঞ্চ চালিয়ে রাখা যাবে সেটিই বড় প্রশ্ন?'

এদিক, বর্তমানে একশ কিলোমিটিার পর্যন্ত প্রতিকিলোমিটার ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং একশ কিলোমিটারের পর থেকে প্রতিকিলোমিটার ১ টাকা ৪০ পয়সা নির্ধারণ করা আছে ভাড়া।
গত ২৯ মে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে লঞ্চ মালিক সমিতির সাথে বৈঠকে ভাড়া বৃদ্ধির চাপ দেয়া হয়। তারপর ৩১ মে ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন হয়।
যাত্রী কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এমভি কুয়াকাটা লঞ্চের মালিক কালাম খান বলেন, আমরা এখন লাভের জন্য লঞ্চ চালাচ্ছি না। বেঁচে থাকার জন্য লঞ্চ চালাচ্ছি। তবে সেক্ষেত্রে লঞ্চ চালিয়ে যদি স্টাফদের বেতন না ওঠে সেক্ষেত্রে লঞ্চ চালিয়ে যাওয়াটা কিছুটা কঠিন। অনেক মালিক হয়তো লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে আনছেন। কুয়াকাটাও লোকসানের মুখেই আছে তারপরও এখনো চালিয়ে যাচ্ছি'।
উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা থেকে দেশের অন্তত ৬০টি রুটে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি লঞ্চ চলাচল করতো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লঞ্চ

১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ