দুদিন ধরেই জ্বর মাশরাফির। সঙ্গে গা ব্যথা ও মাথা ব্যথাও আছে বেশ। গতকাল শুক্রবার তার পরীক্ষা করানো হয়। আজ শনিবার তার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
মাশরাফির শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীর বোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আগেই। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। তবে তাদের সংস্পর্শে আসেননি মাশরাফি। আক্রান্ত হয়েছেন অন্য কোনোভাবে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য দুই দফায় নড়াইল গিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে সেটিও বেশ আগে। নড়াইল থেকে ঢাকায় ফিরে আলাদা একটি বাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন দুই সপ্তাহ। তারপর বাসায় ফিরে সাবধানেই ছিলেন। বাইরে খুব একটা যাননি। তারপরও রক্ষা পেলেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে।
জ্বর ও গা ব্যথা ছাড়া আপাতত কোনো সমস্যা তার নেই। নিজের বাসাতেই আইসোলেশনে আছেন তিনি।
একই দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার খবর দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ওয়ানডে সংস্করণের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস ইকবালও।
কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন ৩৪ বছর বয়সী নাফিস নিজেই। বেশ কয়েক দিন আগে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন তিনি।
ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান নাফিস বাংলাদেশের হয়ে ১১টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। দারুণ সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার পথচলা থেমে গেছে আড়াই বছরেরও কম সময়ে।
২০০৩ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে শুরু, ২০০৬ সালের মার্চে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে শেষ। টেস্টে ২৩.৫৪ গড়ে এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফসেঞ্চুরিসহ ৫১৮ রান করেছেন নাফিস। ওয়ানডেতে ১৯.৩১ গড়ে তার সংগ্রহ ৩০৯ রান। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন দুটি।
২০১৮ সালের ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন নাফিস। খেলা ছাড়লেও তিনি যুক্ত আছেন ক্রিকেটের সঙ্গেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ (বিপিএল) বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন তিনি।