Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিগগিরই ভ্যাকসিন আসছে : ফাউচি

গরুর রক্ত থেকে তৈরি হবে টিকা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্ব শিগগির করোনাভাইরাসের একটি কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে মহামারির অবসান ঘটাবে। গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাতকারে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা অঞ্চলের একটি বায়োটেক প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা গরুর রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় বের করছেন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাতকারে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলকে উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, আমরা লকডাউনে যাওয়ার বিষয়ে আর কথা বলব।’ তার মতে, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় স্থানীয়করণের ওপর জোর দিতে হবে। যেখানে করোনা সংক্রমণ নেই, সেখানে স্কুল খুলে দিতে সমস্যা নেই বলে জানান তিনি। ফাউচি জানান, যুক্তরাজ্যে ডেক্সামেথাসনের পরীক্ষার ফলাফলে তিনি মুগ্ধ। ওষুধটি ভেন্টিলেশনে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হয়েছে এক-তৃতীয়াংশ। তবে এ ওষুধ সংক্রমণের পরপরই না দিতে পরামর্শ দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সংক্রমণের সংখ্যা ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের মূলকেন্দ্র হয়ে ওঠা নিউ ইয়র্ক ও নিউজার্সি তাদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ২০টি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা অঞ্চলের একটি বায়োটেক প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা একধরনের গরুর জেনেটিক নকশা করছেন। এর মাধ্যমে, গরুর রক্ত থেকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি পাওয়া যাবে। আগামী গ্রীষ্মেই এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘সায়েন্স’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন রোগের অ্যান্টিবডি পেতে এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা জিনগতভাবে নকশা করা কোষ বা তামাক পাতা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ২০ বছর আগেই দুধ উৎপন্নকারী প্রাণীর শরীর থেকে অ্যান্টিবডি তৈরির পরীক্ষা শুরু করে সাউথ ডাকোটার এসএবি বায়োথেরাপিউটিকস। এজন্য তারা জিনগতভাবে নকশা করা এসব গাভীর শরীরে ভাইরাসটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করায়। এই গাভীগুলোর কোষে এমন ডিএনএ থাকে যা ভাইরাসগুলোর সংস্পর্শে এসে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। পরে এই অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে প্রবেশ করালে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

এসএবি বায়োথেরাপিউটিকস এ ওষুধটির কয়েকশ’ ডোজ তৈরি করেছে। এই ওষুধটির নাম হলো এসএবি-১৮৫। আগামী গ্রীষ্মেই এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কতজনের শরীরে এই ওষুধটি প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে এখনো কোনো ধরনের তথ্য জানানো হয়নি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।

এসএবি বায়োথেরাপিউটিকসের সিইও এডি সুলিভান বলেন, পরীক্ষাগারে এই প্রাণীগুলো (গাভী) এক ধরনের নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। যা করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে। আমরা এই ওষুধটি নিয়ে ট্রায়ালে যেতে চাই। করোনা রোগের সমাধানের আশায় সম্ভাব্য এই ওষুধটি নিয়ে কাজ করছি আমরা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডি সুলিভান জানান, সাধারণত অন্য কোন প্রাণীর চেয়ে আকারে বড় হওয়ার কারণে গরুর শরীরে প্রচুর রক্ত উৎপন্ন হয়। জিনপ্রকৌশলের মাধ্যমে উৎপাদিত এসব গরুর রক্ত মানুষের শরীরের অনুরূপ প্রোটিন সমন্বয় করতে পারে অনেক দ্রুত। আর শুধু তাই নয়, এই গরুর রক্তে প্রতি মিলিলিটারে মানুষের রক্তের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।

গরুর রক্তের প্রোটিন মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আর এক্ষেত্রে ভাইরাসটি যদি জেনেটিক মিউটেশনের মাধ্যমে নিজের আকার বা প্রকৃতি পালটে ফেলে তাহলেও পলিক্লোনাল অ্যান্টিবডি ঠিকই এর কোন না কোন অংশকে চিহ্নিত করে ফেলবে এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে যাবে তখনো। সূত্র : ফ্রান্স ২৪, সিএনএন, বিবিসি।



 

Show all comments
  • Nil Nilaan Rim ২০ জুন, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    এই লোক খুব ভয়ংকর। এর থেকে সাবধানে থাকুন ও বিল গেটস এর সহচর। ওর সমন্ধে ভাল করে জানুন আগে
    Total Reply(0) Reply
  • Farhad Bhuiyan ২০ জুন, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    ভারত কি এ টিকা ব্যবহার করবে???
    Total Reply(0) Reply
  • M Karim ২০ জুন, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
    এটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না
    Total Reply(0) Reply
  • এস এম সৈকত মাহমুদ ২০ জুন, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
    who এর কোন কথাই সঠিক নহে বিকালে আবার অন্য কথা বলবেনে
    Total Reply(1) Reply
    • সাদা মানুষ ২০ জুন, ২০২০, ৩:৩৬ এএম says : 0
      WHO কে আমার এরশাদ কাকুর মত মনে হয়।
  • Milon Malo ২০ জুন, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
    এই আসবে আসবে করেই তো দেশটা শেষের পথে,তো কজন পারবে টিকা দিতে
    Total Reply(0) Reply
  • Dedarul Alam ২০ জুন, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
    লক ডাউন আগেও দরকার ছিল না।স্বাস্হ্যবিধি মেনে সচেতন হয়ে সব করা যেত।যে আতঙ্ক ছড়ানো হলো তাতে মানুষ আতঙ্কিত হয়েই বেশি সারা যাচ্ছে।আর অনেকে হয়ত মরত না ।মরল শুধু অন্য রোগের চিকিৎসা হয়নি তাই।করোনার কারণে যারা নিয়মিত অন্য রোগি আছে তারা চিকিৎসা পায়নি তাছাড়া আতঙ্কের কারণে অনেক করোনা রোগি পারি্ারিক সেবা পায়নি বলেই বেশি মারা গেল।আর এখন আন্তর্জাতিক পলিটিক্সের অংশ হিসেবে ব্যবসাটা বাকি আছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ