Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেইজিংয়েও সামুদ্রিক খাদ্যের বাজার থেকে ছড়িয়েছে নতুন করোনাভাইরাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২০, ১:১৬ পিএম

বেইজিংয়ের এক পাইকারি খাদ্যপণ্যের বাজার থেকেই নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এই বাজারের সামুদ্রিক মাছ এবং মাংসের দোকানের অংশ থেকেই মারাত্মক এই ভাইরাসের সংক্রমণের আলামত খুঁজে পেয়েছে চীন।
গত বৃহস্পতিবার চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জানান, তারা ধারণা করছেন, বাজারের ওই অংশের নিম্ন তাপমাত্রা এবং উচ্চ আদ্রতার কারণে সংক্রমণের বিস্তার হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ-পশ্চিমের ফেংতাই জেলার জিনফাদি বাজারে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পায় দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
ওই এলাকায় মুখের লালা পরীক্ষায় ৫১৭ জনের মধ্যে ৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এর প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে বেইজিংয়ে সকল প্রকার পর্যটন এবং ক্রীড়ানুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
নতুন করে এই সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ১০০ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। তবে নগরজুড়ে শঙ্কা বাড়ছে আরো সংক্রমণের।
বৃহস্পতিবার চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ উ জুনইউ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জিনফাদি বাজারের যেসব লোকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সি-ফুড এবং জলজ পণ্যের দোকানে কাজ করতেন। তাদের পরে আক্রান্ত হয়েছেন গরুর মাংস এবং খাসির মাংসের দোকানে কাজ করা লোকজন। এদের মধ্যে সবার আগে সি-ফুডের দোকানে কাজ করা লোকজনের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ভাইরাসের টিকে থাকার জন্য স্বল্প তাপমাত্রা এবং বেশি আদ্রতা বেশ উপযোগী। সেকারণে সি-ফুড মার্কেট এটার উৎস হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে এই বিশেষজ্ঞ এটাও বলেছেন যে, এ বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
বেইজিংয়ে সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে এই শঙ্কা থেকে ইউরোপীয় বিপণনকারীদের কাছ থেকে স্যালমন মাছ আনা স্থগিত করে দিয়েছে চীন।
আমদানি করা স্যালমনের সাথে আসা চপিং বোর্ডে করোনাভাইরাস খুঁজে পাওয়ার পর থেকে এই মাছটি রান্না ছাড়া খাওয়ার ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করে দিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঢেউ আঘাত হানে দেশটির হুবেই প্রদেশের একটি সামুদ্রিক খাদ্যের বাজার থেকে। ওই বাজারে বিক্রি করা বন্য প্রাণী থেকেই করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করে বলে পরবর্তীতে জানা যায়।



 

Show all comments
  • Elias ১৯ জুন, ২০২০, ৩:৪৬ পিএম says : 0
    গরু এবং খাসি জবাই করা আর বলি দেওয়ার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে ইসলাম জবাই করে ঘরে ঘরে রক্ত জবা কে পছন্দ করে জবাইকৃত মাংস ভাইরাসমুক্ত ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ